পশ্চিমবঙ্গের সরকারি ও সরকার-পোষিত স্কুলে ছুটি আরও বাড়ল। আগামী ৯ জুন পর্যন্ত স্কুল ছুটি থাকবে। তারপর আগামী ১০ জুন থেকে স্কুল খুলবে। যদিও খাতায়কলমে ৩ জুন থেকেই স্কুল খুলে যাচ্ছে। সেদিন থেকে শিক্ষকদের স্কুলে যেতে হবে। পঠন-পাঠন শুরু হবে ১০ জুন থেকে। অর্থাৎ ১০ জুন থেকে পড়ুয়াদের স্কুলে যেতে হবে। সোজা কথায় বলতে গেলে পড়ুয়াদের জন্য সরকার এবং সরকার-পোষিত স্কুল খুলবে ১০ জুন থেকে। আর ৩ জুন থেকে স্কুলে যেতে হবে শিক্ষকদের। যদিও শিক্ষা দফতরের সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ৪ জুন লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা করার প্রায় সপ্তাহখানেক পর থেকে কেন স্কুলে পঠন-পাঠন শুরু করা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষক মহলের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, অহেতুক এতদিন ছুটি দেওয়া হল। ভোটের ফল ঘোষণার পরই স্কুল খুলে দেওয়া যেতে পারত।
শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকায় কী বলা হয়েছে?
সোমবার শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে যে ৪ জুন ভোটগণনা হয়ে গেলেও রাজ্যের সরকারি এবং সরকার-পোষিত স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা থাকছেন। সেই পরিস্থিতিতে স্কুলগুলিকে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আনতে কিছুটা সময় লাগবে। সেজন্য ১০ জুন স্কুলগুলিতে পঠন-পাঠন শুরু করা হবে। সেদিন থেকে পড়ুয়াদের স্কুলে আসতে হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্য সরকার।
দীর্ঘদিন ধরে ছুটি চলছে স্কুলে
এবার ২২ এপ্রিল থেকে পশ্চিমবঙ্গের সরকার এবং সরকার-পোষিত স্কুলে গরমের ছুটি পড়েছিল। অত্যধিক গরম এবং তাপপ্রবাহের জেরে সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। তারপর থেকে স্কুল খোলেনি। ভোট পড়ে যাওয়ায় আরও বেড়ে যায় ছুটি। অবশেষে সবকিছু মিটিয়ে ১০ জুন স্কুল খুলবে পশ্চিমবঙ্গে। অর্থাৎ দেড় মাস ছুটি থাকল পশ্চিমবঙ্গের সরকারি ও সরকার-পোষিত স্কুলে।
শিক্ষক মহলের প্রতিক্রিয়া
বিষয়টি নিয়ে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, ‘বিদ্যালয়ের ছুটি বাড়িয়ে ৯ জুন পর্যন্ত করা হল। যদিও শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের ৩ জুন থেকে বিদ্যালয় যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। আবহাওয়া যেহেতু অনুকূল, তাই ভোটের ফলাফলের পরদিন থেকে পড়ুয়া-সহ সকলের জন্য বিদ্যালয় খুলে দেওয়া উচিত। তার আগে বিদ্যালয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার যথেষ্ট সময় রয়েছে।’