উদ্বেগ যেন পিছু ছাড়ছে না কিছুতেই। ভুটান সীমান্ত ঘেঁষা আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁ। এবার সেখানে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভারের আতঙ্ক। প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন আধিকারিকদের দাবি, মূলত শূকরের দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে এই মারণ রোগ। প্রায় ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে প্রবল জ্বরে মারা যেতে পারে একের পর এক শূকর। তবে আশার কথা একটাই, এই রোগ মানুষের কাছে আপাতত আতঙ্কের নয়। কিন্তু কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দফতর। আপাতত দিন দুয়েকের মধ্যে জয়গাঁর সমস্ত শূকরকে টিকাকরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গেই শূকরের মাংস বিক্রি ও অন্যত্র সেগুলি পাঠানোর ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
একেবারে ভুটানের কোল ঘেঁষে আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁ। গেট পেরলেই ভুটান। কিন্তু কেন আফ্রিকান সোয়াইন ফিভারের আতঙ্ক ছড়াল আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁতে। প্রশাসন সূত্রে খবর, গত ২৫শে মে ভুটানে মৃত শূকরের দেহে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভারের ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপরই সতর্ক হয়েছে এই রাজ্যের প্রশাসন। এলাকায় মাইকিংও শুরু হয়েছে। এদিকে জয়গাঁ ও সংলগ্ন এলাকায় অনেকেই শূকর প্রতিপালনকেই জীবিকা হিসাবে বেছে নিয়েছেন। আতঙ্ক ছড়িয়েছে তাঁদের মধ্যেও। ইতিমধ্যেই স্থানীয় বিডিও তাঁর ও প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দফতরের আধিকারিকের ফোন নম্বর এলাকায় বিলি করেছেন। কেউ সমস্যায় পড়লেই যাতে যোগাযোগ করতে পারেন। কালচিনির বিডিও প্রশান্ত বর্মন বলেন, ‘সমস্ত দিক থেকে আমরা সতর্ক রয়েছি। এলাকায় পর্যাপ্ত স্য়ানিটাইজ সহ অন্য়ান্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’