পর্যটনের মরসুম এসে গিয়েছে পাহাড়ে। করোনার দাপট কিছুটা কমতেই দলে দলে লোকজন পাহাড়মুখী। এদিকে সেই পর্যটন মরসুমেই সোমবার পাহাড়গামী গাড়ি চালানো বন্ধ করে দিলেন গাড়ি চালকদের একাংশ। দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পং সহ পাহাড়গামী সিংহভাগ গাড়ি এদিন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এদিকে দার্জিলিং যাওয়ার জন্য এনজেপিতে নেমে মারাত্মক সমস্যায় পড়ে যান পর্যটকরা। তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাসের ট্যাক্সি স্ট্যান্ড থেকেও বহু গাড়ি পাহাড়ে যেতে চায়নি। আন্দোলনকারীদের দাবি, তেলের দাম অত্যাধিক বেড়ে গিয়েছে। সেই তুলনায় যাত্রীভাড়া বাড়েনি। সেকারনেই আপাতত যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে সোমবার প্রতীকী বনধের রাস্তাতে নামেন গাড়ি চালকদের সংগঠন।
এদিকে পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়ার জন্য এনজেপি স্টেশনে সোমবার নেমেছিলেন কলকাতার বাসিন্দা অরবিন্দ ঘোষ। কিন্তু নেমেই শোনেন গাড়ি ধর্মঘট চলছে। তিনি বলেন, শুধু সিকিম যাওয়ার গাড়ি চলছে। এদিকে আমাদের দার্জিলিং যাওয়ার প্রোগ্রাম রয়েছে। তবে সেই রুট বদলে আমরা আগেই গ্যাংটক চলে যাওয়ার কথা ভাবছি। অভিজিৎ ঘোষ নামে অপর এক পর্যটক বলেন, গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না। খুব সমস্যায় পড়ে গিয়েছি। তবে এনজেপি ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা উদয় সাহা বলেন, আমরা তৃণমূল করি। আমরা বনধ করতে পারি না। কিন্তু তেলের দামের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন আমরা করব। আমাদের গাড়ি চলছে। যারা বনধ ডেকেছে তাদেরকে আমরা অনুরোধ করেছি যাতে পর্যটকদের ছাড় দেওয়া হয়।