কাকদ্বীপে সন্ধান মিলল বিরল প্রজাতির নরম খোলের কচ্ছপের। জমিতে ধান রোয়ার সময় কচ্ছপটিকে দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করেন কৃষিজীবী অমিত হালদার। বন দফতরের হাতে বিপন্ন প্রাণীটিকে তুলে দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের তরফে সব রকম চেষ্টা চলেছে।
এক সপ্তাহ আগে কাকদ্বীপ শহরের উপকন্ঠে পুকুরবেড়িয়া গ্রামের কৃষিজীবী অমিত হালদার হলদে রঙের কচ্ছপ শাবকটিকে খেত থেকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যান। তাঁর বাড়িতে কচ্ছপটিকে রেখে তাকে নিয়মিত নাছ খাইয়ে বাঁচিয়ে রাখেন তিনি। সেই সঙ্গে কী করে বিপন্ন প্রাণীটিকে তার প্রাকৃতিক আলবাসে ফিরিয়ে দেওয়া যায়, তাই নিয়ে চলতে থাকে খোঁজখবর।
শেষ পর্যন্ত খবর পেয়ে এগিয়ে এসেছেন পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরা। তাঁদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এশিয়ান ফ্ল্যাপ শেল্ড টার্টল (Lissemys punctata andersonii) প্রজাতির এই বিরল কচ্ছপ আদতে জলপাই সবুজ রঙের হয়। কিন্তু জন্মসূত্রে শ্বেতীর কারণে কচ্ছপ শাবকের খোলের রং হলুদ এবং পেটের বর্ণ সাদা। কচ্ছপ ছানাটির আনুমানিক ওজন ১০০ গ্রাম।
ওড়িশার উপকূলে বেশি দেখা গেলেও সুন্দরবন এলাকায় এই প্রজাতির কচ্ছপ বর্তমানে প্রায় বিলুপ্ত। জানা গিয়েছে, এই কচ্ছপ প্রজাতি ভারতে প্রাপ্ত একমাত্র মিষ্টি জলের কাছিম বা নরম খোলের কচ্ছপ। পাশাপাশি, মিষ্টি জলের কাছিমদের মধ্যে এই প্রজাতি বিশ্বে বৃহত্তম। প্রাপ্তবয়স্ক এই কচ্ছপ লম্বায় সাড়ে তিন ফুটের কাছাকাছি হয়। নদী, খাল ও পুকুর তাদের স্বাভাবিক বাসস্থান।
বিজ্ঞান মঞ্চের তরফে কচ্ছপ ছানাটিকে বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।