মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরের হাতে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের ভূমিপুজোর প্রসাদ তুলে দেওয়া হল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের-এর তরফে। শুধু ঠাকুরনগরেই নয়, পেট্রাপোল দিয়ে এদিন প্রসাদ পাঠানো হল বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলায় ওড়াকান্দিতেও। সেখানেই জন্ম হয়েছিল মতুয়াদের গুরু হরিচাঁদ – গুরুচাঁদের।
অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভূমিপুজোয় মতুয়া ঠাকুরবাড়ির মাটি ও কামনাসাগরের জল ব্যবহার করা হয়নি বলে গত সপ্তাহে বিতর্ক চরমে ওঠে। মতুয়াদের একাংশ দাবি করেন, ওই জল ও মাটি অযোধ্যা থেকে ফেরত এসেছে। অভিযোগকারীদের পাশে দাঁড়ায় তৃণমূল।
পালটা মতুয়াদের আরেক অংশের দাবি, অহেতুক বিতর্ক তৈরি করার জন্য এমন অভিযোগ করা হয়েছে। ঠাকুরবাড়ির মাটি ও জল ব্যবহার হয়েছে ভূমিপুজোয়। মতুয়াদের এই অংশের সমর্থনে সরব হন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।
বিতর্কের অবসান ঘটাতে আগেই দিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠক করে মতুয়া মহাসংঘের প্রতিনিধি শান্তনু ঠাকুরের হাতে ভূমিপুজোর প্রসাদ তুলে দিয়েছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সভাপতি অলোক কুমার। সঙ্গে জানান, ভূমিপুজোয় ঠাকুরনগরের মাটি ও জল ভক্তিভরে ব্যবহার করা হয়েছে।
বুধবার সেই প্রসাদ পৌঁছে দেওয়া হল বাংলাদেশেও। এদিন সকাল ১০.৩০ মিনিট নাগাদ পেট্রাপোলে পৌঁছয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রতিনিধিরা। সেখানে বাংলাদেশ থেকে আসা প্রতিনিধিদের হাতে রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর প্রসাদ তুলে দেন সংগঠনের পূর্ব ক্ষেত্রীয় সম্পাদক অমিয় সরকার। এর পর ঠাকুরনগরে গিয়ে মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরের হাতে প্রসাদ তুলে দেন তাঁরা।