বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে এবার উপাচার্যের রাজনৈতিক বক্তব্য পেশকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হল। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নাম না করে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে কটাক্ষ করলেন। পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত প্রয়াত ডা. সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাসনা গৃহে। সেখান থেকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীর ভাঙার প্রসঙ্গ তুলে নাম না করে অনুব্রতকে কটাক্ষ করেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সচরাচর রাজনৈতিক বক্তব্য পেশ করতে দেখা যায় না বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে। তাহলে তিনি কেন রাজনৈতিক বক্তব্য পেশ করলেন? এই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
এর আগে ডা. সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবক্ষ মূর্তি তৈরি হয়েছিল। সেই মূর্তি উন্মোচন করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই কথা মনে করিয়ে দিয়ে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নাম না করে অনুব্রতকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘যিনি সভার অধ্যক্ষ ছিলেন তিনি কখনও বিশ্বভারতীর ভালো চান না। অপমান করেই আনন্দ পান। তাই আমি ওই মঞ্চে থাকতে চাইনি।’ তাছাড়া ওই মূর্তির নিচে অনেকের নাম থাকলেও উপাচার্যের নাম ছিল না বলে তিনি অভিযোগ করেন। এছাড়াও মূর্তিতে কালি লাগানো হলেও অনুব্রত মণ্ডল কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এর পাশাপাশি বিশ্বভারতীর প্রাচীর ভাঙার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তিনি অনুব্রতকে নাম না করে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালের ২১ আগস্ট বিশ্বভারতীতে তাণ্ডব নিত্য চলেছিল। সেখানে অনেক বহিরাগত সমাজবিরোধী ছিলেন। তারা উপাচার্যকে শিক্ষা দিতে চেয়েছিলেন।’ এই ঘটনার পিছনেও একজন বিধায়ক ছিলেন বলে তিনি দাবি করেছেন যদিও তিনি তার নাম করেননি। তবে সেই সময় ডা. সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায় উপাচার্যের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন বলেই তিনি জানান।