বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্ক এখনও থামেনি। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে খানিকটা থেমেছে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ। বহিষ্কৃত ছাত্রদের ক্লাসে ফেরার অনুমতি মিলেছে। কিন্তু এখনও পড়ুয়াদের দাবি, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর পদত্যাগ চান তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎই ছুটিতে চলে গেলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বুধবার থেকে পাঁচদিনের ছুটি নিয়েছেন তিনি। তাই হঠাৎ কেন ছুটি নিলেন? তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সূত্রের খবর, এই ছুটিতে নয়াদিল্লি যাচ্ছেন উপাচার্য।
এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ এটা কি কেন্দ্রীয় তলব? নাকি নিজে থেকেই ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে যাচ্ছেন তিনি? এই প্রশ্নও ঘোরাফেরা করছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে। বিশ্বভারতীর ওয়েবসাইটে উপাচার্যের ছুটির বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, তিনি নয়াদিল্লি থেকে ডাক পেয়েছেন। তাই এই জরুরি ছুটি। বুধবার নয়াদিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক থেকে ডাক এসেছে।
বিশ্বভারতীর আন্দোলন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বলেছিলেন, ‘ছাত্রদের বুঝতে হবে যে এই রাজনীতির কারবারিরা নিজেদের স্বার্থে তাদের ব্যবহার করে ছুঁড়ে ফেলে দেবে। লঘু পাপে গুরু দণ্ড দেওয়া হয়েছে।’ ছা্ত্রদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে এটাই ছিল বিচারপতির পর্যবেক্ষণ। বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যকে ক্রমাগত নিচের দিকে টেনে নামানোর চেষ্টা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিন পড়ুয়া এবং অধ্যাপককে সাসপেন্ড করার ঘটনায় আন্দোলন চরমে ওঠে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার জেরেই উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তীকে টানা ৬ দিন ঘেরাও করেন পড়ুয়ারা। অচলাবস্থা জারি হয় বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে। কলকাতা হাই কোর্টে মামলা গড়ালে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বলেন, ‘উপাচার্য আইনের উর্ধ্বে নন।’ সুতরাং উপাচার্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তের প্রেক্ষিতেই এই তলব বলে মনে করা হচ্ছে।