সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় দুই মিনিটের একটি ভিডিয়ো। দাবি করা হয়, মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিঁড়িতে ওই ভিডিয়োটি তোলা হয়। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে হাসপাতালের সিঁড়িতে বসে যুগল। ভিডিয়োতে থাকা মেয়েটির মুখ চাদড়ে ঢাকা। সেই মেয়েটিকে কিছু বোঝচ্ছে পুরুষ সঙ্গিটি। কিছুক্ষণ পরে চাদড়ে মুখ ঢোকাল পুরুষটিও। দুই মিনিট এভাবেই চলল। এই ভিডিয়োটি সম্প্রতি ভাইরাল হল সোশ্যাল মিডিয়াতে। বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে এই ধরনের অশ্লীলতা চলছে হাসপাতালের শিঁড়িতে। ভিডিয়োর সত্যতা অবশ্য যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
জানা গিয়েছে, ভিডিয়োতে থাকা যুগলের বাড়ি কালিয়াচক থানা এলাকায়। দুজনই পূর্ব পরিচিত। সেই পরিচয় ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে পরিণত হয়। নিজেদের সম্পর্কের বিষয়টি লোকচক্ষুর আড়ালে রাখার লক্ষ্যেই নাকি হাসপাতালের শিঁড়িতে ঘনিষ্ঠ হয় যুগল। এদিকে দুই জনের আচরণে ক্ষুব্ধ হাসপাতাল কর্মীরা এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। এই কর্মীদেরই একজন গোটা ঘটনাটির লুকিয়ে ভিডিয়ো করেছিলেন বলে দাবি। খবর পেয়ে, ছুটে আসেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। তাঁরাই ওই যুগলকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন।
অন্যদিকে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত হাসপাতালের পক্ষ থকে কোনও বিশেষ প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে, হাসপাতালের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনা হাসপাতালে কাম্য নয়। যদি হয়ে থাকে, তবে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হবে। তবে গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে খবর, অভিযুক্ত দুই জনকেই প্রথমে হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির হাতে তুলে দেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। পরে সেখান থেকে অভিযুক্তদের ইংরেজবাজার থানার পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়।