এই গ্রামের নামটিই ‘ভূল’। এখানে এলে এটাই পড়তে হবে। আর এখন এখানকার বাসিন্দারা নিজেদের গ্রামের নামেই অতিষ্ঠ। কাউকে গ্রামের নাম বলতে চান না এঁরা। পুরুলিয়া এক নম্বর ব্লকের ডিমডিহা গ্রাম পঞ্চায়েতের ‘ভূল’ গ্রামের বাসিন্দারা বিকল্প পথ খুঁজতে শুরু করেছে। এমনকী ভূলবাসীর একাংশ চান গ্রামের নামটাই বদলে ফেলা হোক।
বিষয়টি ঠিক কী পুরুলিয়ায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, গ্রামের নাম ‘ভুল’। এই নিয়ে কথা বললেই একরাশ ক্ষোভ ধরা পড়ছে তাঁদের মুখে। নিজের গ্রামের নাম ভুল—একথা কী কাউকে বলা যায়! অথচ এই গ্রামে প্রায় চার হাজার মানুষের বসবাস। পুরুলিয়ার অন্তর্গত এই গ্রামের নাম ভুল। এমনকী দু’টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চারটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, স্বাস্থ্যকেন্দ্র সবই রয়েছে। তাহলে গ্রামের নাম ভুল কেন? উঠছে প্রশ্ন।
কী বলছেন গ্রামের বাসিন্দারা? ওই গ্রামেরই বাসিন্দাদের বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসা করতেই কয়েকজন একসঙ্গে বলে উঠলেন, ‘গ্রামের নাম নিয়ে সমস্যায় আছি আমরা। অন্যত্র এই গ্রামের নাম বললে সবাই অবাক দৃষ্টিতে তাকায়। আমদের গ্রামের নাম শুনে অনেকে হাসাহাসি করে। যদি কোনওভাবে গ্রামের নামটা বদলে ফেলা যায় তাহলে ভাল হয়।’
কেন এই গ্রামের নাম ভুল? এই গ্রামের এক মাস্টারমশাই (নাম বলতে চাননি) ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘ভূ- শব্দের অর্থ ধরিত্রী। আর পৃথিবী লক্ষ্মীর অধিষ্ঠান আমাদের গ্রামে। ভূ এবং ল— এই দুইয়ে মিলে গ্রামের নাম হয়েছে ‘ভূল’। কিন্তু সবাই তা জানে না। আর জানে না বলেই এই গ্রামের নাম নিয়ে হাসাহাসি করেন।’ এই বিষয়ে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এই নিয়ে সরব হয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁরা নিজেরা একটি বিকল্প নাম ঠিক করে ‘ভূল’ নামটির পাশে বন্ধনীর মধ্যে সেই নাম লেখা শুরু করুন। তাঁরা এগিয়ে এলে প্রশাসন নিশ্চয়ই চিন্তাভাবনা করবে।’