বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > গ্রামে আসছেন দিদির দূত, বাঁশ দিয়ে রাস্তা আটকালেন বাসিন্দারা, বিপাকে সিউড়ির MLA

গ্রামে আসছেন দিদির দূত, বাঁশ দিয়ে রাস্তা আটকালেন বাসিন্দারা, বিপাকে সিউড়ির MLA

কাঠের গুড়ি ফেলে রাস্তা আটকে দেওয়া হয়।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, বিধায়ক জানিয়েছিলেন গ্রামে জল দেওয়া হবে। কিন্তু আমাদের জল দেওয়া হয়নি। আমাদের প্রশ্ন, কেন এখনও জল পেলাম না। সেই জবাব বিধায়ককে দিতে হবে। সেকারণে রাস্তায় বাঁশ ফেলেছি।

দিদির দূতেদের সম্পর্কে বার বার গ্রামবাসীদের সতর্ক করে দিচ্ছেন বিরোধীরা। এদিকে গ্রামে গেলেই বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়ছেন দিদির দূতেরা।নেতা মন্ত্রীরা কার্যত এলাকা ছেড়ে পিঠটান দিয়ে বাঁচছেন কোনওরকমে। সেই পরিস্থিতিতে এবার দিদির দূত হিসাবে সিউড়ির তৃণমূল বিধায়ক গ্রামে আসছেন এই খবর সামনে আসতেই বাঁশ দিয়ে রাস্তা আটকে দেন গ্রামবাসীরা। স্থানীয় সূত্রে এমনটাই খবর।

সূত্রের খবর, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী এদিন চিনপাই পঞ্চায়েত এলাকায় যান। এলেমা গ্রামে তাঁর কর্মসূচি ছিল। এদিকে তিনি আসার খবর চাউড় হতেই গ্রামে ঢোকার রাস্তা বাঁশ, কাঠের গুড়ি ফেলে আটকে দেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের সাফ কথা গ্রামে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হবে বলে বার বার বলেছিলেন বিধায়ক। কিন্তু বাস্তবে কাজের কাজ কিছু হয়নি। সেকারণেই বাঁশ দিয়ে বিধায়কের যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেন গ্রামবাসীরা।

এদিকে এরপর বিধায়ক এলাকায় এলে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে যান বিধায়ক। নানাভাবে তিনি বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা একেবারেই শান্ত হননি। উলটে বিক্ষোভের মাত্রা বাড়তে থাকে। গ্রামবাসীরা একেবারে ঘিরে ধরেন তাঁকে। তাঁদের অভিযোগ এলাকায় দেখা যায় না তাঁকে। মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এই গ্রামে বিধায়ককে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, বিধায়ক জানিয়েছিলেন গ্রামে জল দেওয়া হবে। কিন্তু আমাদের জল দেওয়া হয়নি। আমাদের প্রশ্ন, কেন এখনও জল পেলাম না। সেই জবাব বিধায়ককে দিতে হবে। সেকারণে রাস্তায় বাঁশ ফেলেছি।

অপর এক মহিলা লায়লা বিবি বলেন, আমাদের মাটির বাড়়ি। অত্য়ন্ত কষ্ট করে থাকি। কিন্তু আবাস প্রকল্পে নাম থাকা সত্ত্বেও কেন তালিকা থেকে আমাদের নাম কাটা হল। সেই প্রশ্নটাই আমরা বিধায়ককে জানাতে চাই। আমাদের সঙ্গে বঞ্চনা করা হচ্ছে। যাদের পাকা বাড়ি আছে তাদের নাম তালিকায় রয়েছে। আমাদের নাম দেওয়া হয়নি। আমাদের গ্রামে জলের সংযোগ নেই। সেটাও দিতে হবে।

এদিকে এদিন বিধায়ক আসার পরেই তাঁকে ঘিরে শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। সমস্যা মেটানোর জন্য বিধায়ক ফের আশ্বাস দেন। কিন্তু গ্রামবাসীদের দাবি, এমন শুকনো আশ্বাস বহুবার পেয়েছি। কিন্তু সমস্যা মেটেনি। গ্রামের গরিব মানুষ সরকারি প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। অথচ এনিয়ে কোনও হেলদোল নেই বিধায়কের।

 

বন্ধ করুন