কয়েকদিন ধরেই বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে হাঁস-মুরগি। বাদ যাচ্ছে না ছাগলও। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চিতা বাঘের আতঙ্কে ঘুম উড়েছে কোচবিহারের মাথাভাঙ্গার জোরপাটকি গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবপুর গ্রামের। স্থানীয়দের দাবি, তারা কয়েক দিন ধরেই সেখানে একটি চিতাবাঘকে ঘুরতে দেখছেন। এমনকি মাটিতে চিতা বাঘের পায়ের ছাপ রয়েছে বলেও দাবি তাদের। এলাকাবাসীদের কাছে এই খবর পাওয়ার পরেই ওই গ্রামে চিতাবাঘ ধরতে খাঁচা পাতলো বনবিভাগ।
ওই এলাকায় চিতাবাঘের আতঙ্ক সবচেয়ে বেশি তৈরি হয়েছে মেটেলি ব্লকের খরিয়ার বন্দর জঙ্গল সংলগ্ন বাতাবাড়ি পশ্চিমপাড়া গ্রামে। স্থানীয়দের দাবি, ওই গ্রামের রিপন আলম নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে কিছুদিন আগেই চিতাবাঘ ঢুকেছিল। গভীর রাত হওয়ায় তখন সকলেই ঘুমাচ্ছিলেন। সেই সময় বাড়িতে চিতাবাঘ ঢুকে একটি ছাগল টেনে নিয়ে চলে যায়। ছাগলের চিৎকারে ঘুম ভাঙতেই তারা দেখেন আস্ত একটি চিতাবাঘ। এরপর থেকেই ওই গ্রামে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। স্থানীয়দের বক্তব্য, এক সপ্তাহ ধরে রাতের অন্ধকারে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ওই চিতাবাঘ। এরপর থেকেই সেখানে সিসিটিভি বসানোর পাশাপাশি খাঁচা বসানোর দাবি তোলেন গ্রামবাসীরা। অবশেষে আজ সেখানে খাঁচা বসানো হয়েছে।
যদিও চিতা বাঘের আতঙ্ক তৈরি হওয়ার পরেই এলাকায় খুনিয়া স্কোয়াডের বনকর্মীরা পৌঁছে গিয়ে খতিয়ে দেখেন। তবে সেই সময় তারা চিতাবাঘের কোনও সন্ধান পাননি। অবশেষে এলাকাবাসীদের চাপের মুখে পড়ে আজ সেখানে খাঁচা পাতা হল। গ্রামবাসীদের দাবি, এখনও পর্যন্ত চিতাবাঘটি একাধিক হাঁস-মুরগির পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ছাগল খেয়ে ফেলেছে। ঘটনার পর থেকে রাতে বাড়ির বাইরে বের হতে ভয় পাচ্ছেন স্থানীয়রা। এমনকি দিনের বেলাতেও চিতাবাঘের হামলার আশঙ্কায় তারা মাঠে যেতে পারছে না বলে জানাচ্ছেন।