এবার রাজ্যের মন্ত্রীর উপর আক্রমণ নেমে এল বলে অভিযোগ উঠেছে। এখন রাজ্যের একজন মন্ত্রী এবং নেতাকে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে জেলে পাঠিয়েছে ইডি–সিবিআই। তার প্রেক্ষিতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন অনেকে। আজ, শনিবার গঙ্গার ভাঙন পরিদর্শনে এসেছিলেন সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। আর সেখানেই ঘটল অঘটন। রাজ্যের মন্ত্রীকে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে লক্ষ্য করে জুতো ছোঁড়ে গ্রামবাসীরা। যদিও তাঁর গায়ে লাগেনি। বরং ইটের আঘাতে মাথা ফাটে এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর।
কেন এমন ঘটনা ঘটল? এই এলাকায় গঙ্গার ভাঙন একটি বড় সমস্যা। বছরের নানা সময়ে এই সমস্যা দেখা দেয়। মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ এলাকা তখন বানভাসীর চেহারা নেয়। বিপদে পড়েন এলাকাবাসী। ভাঙন রোধের প্রতিশ্রুতি মিললেও সব কাজটা হয়ে ওঠেনি। অর্থ বরাদ্দ হলেও ভাঙন রুখতে কংক্রিটের বাঁধ গড়ে ওঠেনি বলেই অভিযোগ। ফলে সাধারণ মানুষের একটা ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে কাছে পেয়ে।
ঠিক কী ঘটেছে মুর্শিদাবাদে? স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ, শনিবার এখানে আসেন সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম, জঙ্গিপুরের এসডিও সৃঞ্জন শেখর–সহ অন্যান্যরা। সেখানেই মন্ত্রীকে দেখে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। এই নিয়ে বচসা শুরু হয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী এবং গ্রামবাসীদের মধ্যে। তখনই মন্ত্রীকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় জুতো। আর ইটবৃষ্টির জেরে আঘাতে মাথা ফাটে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী নাসির শেখের। এই পরিস্থিতিতে নৌকা করে মন্ত্রীকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
আর কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, এই ঘটনার পিছনে কয়েকজন বিজেপি কর্মী হাত আছে। জুতো–ইট তারাই ছুঁড়েছে। আর গ্রামবাসীদের ফুঁসলিয়ে তাঁদের দিয়ে বিক্ষোভ করিয়েছে। তাতে গোটা ঘটনার দোষ এখন গ্রামবাসীদের উপর পড়েছে। এই ঘটনা ঘটিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল। যদিও পুলিশ এই ঘটনায় কাউকে আটক করেনি।