পুকুর সংস্কারের জন্য চলছিল মাটি কাটার কাজ। সেইসময় উদ্ধার করা হল একটি প্রাচীন বিষ্ণুমূর্তি। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি ২ নম্বর ব্লকের সাতছিয়ার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। মূর্তি উদ্ধার করে পুজো-আর্চনা শুরু করে দেন স্থানীয়রা। যদিও পরে পুলিশ গিয়ে মূর্তিটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরে সেটি নিয়ে যাওয়া হয়েছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়ামে।
আরও পড়ুন: পুকুর কাটতে গিয়ে উদ্ধার ভগবান বিষ্ণুর প্রাচীন মূর্তি, চাঞ্চল্য এলাকায়
মূর্তিটি ঠিক কতদিনের পুরনো? তা এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। তার জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন। তবে প্রাথমিকভাবে স্থানীয়দের অনুমান, এটি বহু প্রাচীন মূর্তি। সেটি লম্বায় প্রায় তিন ফুট। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার পদ্মপুকুর সংস্কারের কাজ চলছিল। এরজন্য মাটি কাটা হচ্ছিল। সেই কাজের জন্য অনেক শ্রমিক ছিলেন। সেই সময় এক শ্রমিকের কোদাল কঠিন বস্তুতে আঘাত করে। তারপর ওই জায়গায় আরও বেশি করে মাটি খোঁড়া হয়।
প্রথমে মাটি খুঁড়তেই সেখানে পাথরের অংশ উঠে আসে। আর তারপরেই বেরিয়ে আসে বিষ্ণুমূর্তি। দ্রুত সেই খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রামে। তখন মূর্তি দেখতে সেখানে জড়ো হন গ্রামের মানুষজন। ভিড় জমে যায় পুকুর চত্বরে। এরপর গ্রামবাসীরা মূর্তিটি ভালো করে পরিষ্কার করে পুজো শুরু করেন। আশেপাশের গ্রাম থেকেও সেখানে মূর্তি দেখতে ছুটে আসেন বহু মানুষ। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মেমারি থানার সাতগাছিয়া ফাঁড়ির পুলিশ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মূর্তিটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, মূর্তিটি ঠিক কতদিনের পুরনো? এই মূর্তির ইতিহাস জানান চেষ্টা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে পুলিশ মূর্তিটি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার পর স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
তাঁদের বক্তব্য, মূর্তিটি গ্রামের। তাই অবিলম্বে সেটি তাঁদের ফিরিয়ে দিতে হবে। তবে গ্রামবাসীদের সেই দাবিতে কর্ণপাত করেনি পুলিশ। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে হুগলির ব্যান্ডেল বিক্রমনগর হরনাথ নীরদা সুন্দরী ঘোষ উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার হয়েছিল। সেটি খতিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। এবার মেমারিতে উদ্ধার হল বিষ্ণুমূর্তি।