রবিবার কোচবিহারের দিনহাটার ভেটাগুড়িতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি তৃণমূলের। আর সেই ঘেরাও কর্মসূচিকে ঘিরে ক্রমেই উত্তেজনার পারদ চড়ছে দিনহাটায়। অন্যদিকে সেই কর্মসূচির আগে একটি অডিয়ো ছড়়িয়ে পড়েছিল সোশ্য়াল মিডিয়ায়। সেই বিস্ফোরক অডিয়োতে শোনা গিয়েছে ঘেরাও কর্মসূচির সময় মন্ত্রীর ছেলের নির্দেশে সেখানে গুলি চালাতে হবে। এরপর সেখানে গণ্ডগোলের পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে। এরপর সেখানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নিরাপত্তায় থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী যাতে গুলি চালাতে বাধ্য হয় তার ব্যবস্থা করতে হবে। আর তারপরেই শুরু হবে আসল খেল!
তবে এই অডিয়োর সত্য়তা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। তবে এই অডিয়োর বিষয় জানতে পেরেই সতর্ক হয় পুলিশ। এই ঘটনায় দিনহাটার সাহেবগঞ্জ থেকে পুলিশ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। তিনি বিজেপি কর্মী বলেই পরিচিত।
পুলিশ জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি গুজব মতো ছড়াচ্ছিল। এখানে নাকি গুলি চালানো হবে। তারপর অভিযোগের ভিত্তিতে সোর্স লাগানো হল। এরপর তপন বর্মন বলে এক ব্য়ক্তিকে সাহেবগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে এই অডিয়ো ছড়িয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। উত্তেজনা ছড়ানোর জন্য করেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তাকে পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে এসে জেরা করা হবে।
কী ছিল সেই অডিয়োতে?
সেখানে শোনা যাচ্ছে, একজন অপরজনকে বলছে, মন্ত্রীর ছেলে তোকে ফোন করেছিল? ভেটাগুড়ির প্রোগ্রামের কথা কিছু বলেছে?
অপরজন বলেন, ঋজু করেছিল…
অপর যুবক বলেন, 'মেশিন তোর একটা একটা রাখবি। সাহানুরের একটা রাখব। পরিস্থিতি এমন করব যাতে ভয়ঙ্কর হয়। মোটামুটি গুলি এমন করে চালাব যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালাতে বাধ্য হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী ওখানে থাকবে। পুলিশকে কিছু করার দরকার নেই। কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর টর্চার করলে ওরাই গুলি চালাবে। একটা ফায়ার করলেই কাজ হয়ে যাবে। দু একটা মরলেই যাব ডিএম অফিসে। …. বলে দিয়েছে তোকেই কাজটা করতে হবে। তুই বুঝছিস! মন্ত্রীর ব্যাটা তোকে ফোন করবে। মেশিন ফেলে দিতে হলে ফেলে দিবি। মাঠে মাঠে পালাবি।বাবুন দার অর্ডার।'
কার্যত বিস্ফোরক অডিয়ো। তবে এই অডিয়োর সত্য়তা যাচাই করতে পারেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে অশান্তি ছড়ানোর জন্য় এই ধরনের গুজব চালানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, কোচবিহারে এক মন্ত্রীর ডাক নাম ব্যবহার করা হয়েছে ভাইরাল অডিয়োতে।কারা রয়েছে এর পেছনে সেটাই প্রশ্নের।