চিকিৎসকমহলে দাদাগিরির অভিযোগে সাসপেন্ড হওয়া বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা এক ব্যক্তি। তাঁর দাবি, ছেলেকে মেডিক্যালে চান্স পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তাঁর কাছ তেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন বিরূপাক্ষ। কিন্তু ছেলে মেডিক্যালে চান্স পায়নি। ফেরত পাননি টাকাও। থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ বিরূপাক্ষের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন - ‘পুলিশ সঙ্গে না থাকলে এদের চামড়া তুলে ডুগডুগি বাজাতে ১ মিনিট লাগবে না’
পড়তে থাকুন - আরজি কর নিয়ে আর কোনও বিবৃতি নয়, বলবেন শুধু মমতা, নির্দেশ মন্ত্রিসভার বৈঠকে
মুর্শিদাবাদের ডোমকল মহকুমার ভাদুড়িয়া পাড়ার বাসিন্দা দ্বীন মহম্মদের দাবি, ছেলেকে মেডিক্যালে চান্স পাইয়ে দিয়ে ২ কিস্তিতে মোট ৮ লক্ষ টাকা তিনি বিরূপাক্ষকে দিয়েছিলেন। তিনি জানান, ‘আমার ছেলে পড়াশুনোয় ভালো। উচ্চ মাধ্যমিকের পর মেডিক্যালে ভর্তি হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। দমদমের একটি প্রতিষ্ঠানে পড়ত সে। তখন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে কর্মরত ছিলেন বিরূপাক্ষ। বিভিন্ন ব্যক্তির মুখে চিকিৎসক মহলে তাঁর প্রভাবের কথা জানতে পেরে যোগাযোগ করি। তিনি জানান, ছেলেকে মেডিক্যালে ভর্তির ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন। সেজন্য প্রথমে ৩ লক্ষ টাকা নেন তিনি। এর পর ৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন। সেই টাকাও দিই তাঁকে। এর পর আরও টাকা দাবি করতে থাকেন তিনি। কিন্তু সেই দাবি মানিনি। এর পর ফোন করে আমাকে হুমকি দিতে থাকেন বিরূপাক্ষ। বলেন, যা পারেন করে নিন।’
আরও পড়ুন - কারচুপি করতে কি ১৪ বছর লাগে? মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে তিরস্কার কলকাতা হাইকোর্টের
এর পর বিরূপাক্ষর বিরুদ্ধে জলঙ্গী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন দ্বীন মহম্মদ। কিন্তু পুলিশের তরফে বিরূপাক্ষর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। সম্প্রতি তাঁর ওপর চাপ বাড়লে মাত্র ৪৫ হাজার টাকা ফেরত পেয়েছেন বলে জানান অভিযোগকারী।
বলে রাখি, চিকিৎসকদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ইতিমধ্যে বিরূপাক্ষকে সাসপেন্ড করেছে স্বাস্থ্য দফতর। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। যার তদন্ত শুরু করেছে রাজ্য সরকার।