বিশ্বভারতীকে হেরিটেজ ঘোষণা করার জন্য আগেই উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেই যে বিশ্বভারতীকে হেরিটেজ ঘোষণা করতে চাইছেন সে কথা জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী। দেশে তো বটেই এবার বিশ্বের দরবারেও কি হেরিটেজ তকমা পেতে চলেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়! এমনই জল্পনা উস্কে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট করা হতে পারে। উপাচার্যের এমন মন্তব্যেই এ নিয়ে জল্পনা বেড়েছে।
কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেছিলেন, 'বিশ্বের মধ্যে প্রথম কোনও লিভিং ইউনিভার্সিটিকে হেরিটেজ করার চিন্তাভাবনা করছে ইউনেস্কোর হেরিটেজ কমিশন। যা আমাদের কাছে অনেক বড় পাওনা।' এর পাশাপাশি উত্তরাখণ্ডের রামগড়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস চালু হচ্ছে। এই দুটি বিষয়কে কেন্দ্র করে উচ্ছ্বসিত বিশ্বভারতীর উপাচার্য।
অন্যদিকে, বিশ্বভারতী প্রাঙ্গণে বহু পুরনো বাড়ি রয়েছে। সেগুলো দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার করা হয়নি তবে সম্প্রতি সেগুলি সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য রক্ষা নিয়ে সরব হয়েছেন উপাচার্য। 'কিছু মানুষ বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য নষ্ট করতে চাইছে' বলে তিনি অভিযোগ তুলেছেন। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আশ্রমিকরাও আশ্রম প্রাঙ্গণে অবস্থিত একাধিক ঐতিহ্যবাহী গৃহ ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ না করার অভিযোগ তুলেছেন।
উল্লেখ্য, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কেও আদৌও হেরিটেজ তকমা দেওয়া যাবে কি না তা নিয়ে ইউনেস্কোর ছয় সদস্যের দল বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেছিলেন। আর তারপর উপাচার্যর মুখে এই আশার বাণী শুনে উচ্ছসিত অনেকে।