এবার সাসপেন্ড হওয়া তিন পড়ুয়াকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ অধ্যাপককেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। স্বভাবতই এই সিদ্ধান্তের পর ফের বিতর্কের মুখে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি তিন পড়ুয়া ফাল্গুনী পান, সোমনাথ সৌ ও রূপা চক্রবর্তীকে নোটিশ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্ত কমিটির পেশ করা রিপোর্ট অনুযায়ী শৃঙ্খলাভঙ্গ, কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধাচরণ-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে এই তিন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। সেইজন্য তাঁদের তিন বছরের জন্য বরখাস্ত করা হল। তিন পড়ুয়ার যদি এই বিষয়ে কোনও বক্তব্য থাকে, তাহেল তা লিখিত আকারে ২৭ অগস্টের মধ্যে জানানো যাবে।
উল্লেখ্য, অর্থনীতির অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে সাসপেন্ড করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন ওই তিন পড়ুয়া। তাঁদের দাবি, এর পরিণামস্বরূপ ওই তিন পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করা হয়। তিন মাসের জন্য তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছিল। সাসপেনশনের তিন মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরও তাঁদের ক্লাসে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ইমেল মারফত সেই সাসপেনশনের মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এরই প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন তিন পড়ুয়া। শুধু তাই নয়, ইজিসির কাছে চিঠি লিখেছিলেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়া জানান, উপাচার্য স্বৈরতন্ত্র চালাচ্ছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কেউ কোনও কথা বললেই তাঁকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হচ্ছে নয়ত শোকজের নোটিশ ধরানো হচ্ছে। আমরা অধ্যাপক, পড়ুয়াদের পাশে আছি। প্রয়োজনে আইনের সাহায্য নিতে পারি। বরখাস্ত হওয়া সোমনাথ সৌ জানিয়েছেন, উপাচার্যের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্যই তাঁদের শাস্তি পেতে হচ্ছে। তবে এর বিরুদ্ধে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। এদিকে সাসপেন্ড হওয়া পদার্থবিজ্ঞানের ২ অধ্যাপকদের মধ্যে একজন হলেন অরণী চক্রবর্তী ও পীযুষ কান্তি ঘোষ। অরণী চক্রবর্তী জানান, এটা হওয়ারই ছিল। কিছু মানুষের শিরদাঁড়া বিক্রি করার থেকে যে আলাদা হতে পেরেছি, এতে আমরা গর্বিত।