গাড়ির চালকের পর এবার নিজেই করোনায় আক্রান্ত হলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। জানা গিয়েছে, তাঁর স্ত্রীর কোভিড রিপোর্টও পজিটিভ এসেছে। শুধু তাঁরা দু’জনেই নন, মারণ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে কেন্দ্র সরকার পরিচালিত রাজ্যের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
সংক্রমিত হয়েছেন এখানকার ২ চিকিৎসক–সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১১ জন। নাগালের বাইরে চলে যাওয়া এই সংক্রমণ রুখতে সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে বিশ্বভারতী। স্বাভাবিক গোটা ক্যাম্পাসে এর আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এই মুহূর্তে অনেক পড়ুয়া রয়েছে হস্টেলে। তাঁরাও আতঙ্কিত। জানা গিয়েছে, হস্টেল–সহ গোটা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর স্যানিটাইজ করা হবে।
কয়েকদিন আগে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর গাড়ি চালক করোনা আক্রান্ত হলে উপাচার্য ও কর্মসচিবের অফিস বন্ধ করে তা সম্পূর্ণ স্যানিটাইজ করা হয়। তার পরও অফিসের বেশ কয়েকজন কর্মীর মধ্যে করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। দেরি না করে সোমবার করোনা পরীক্ষা করান উপাচার্য, তাঁর স্ত্রী ও ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দফতরের প্রায় ১৫০ কর্মীর নমুনা করোনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়। পিয়ারসন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রিপোর্ট উল্লেখ করে জানিয়েছেন, উপাচার্য, তাঁর স্ত্রী, ২ ডাক্তার–সহ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ জন কর্মী মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত।
এদিন বিকেল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কবে খুলবে সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। জানা গিয়েছে, হস্টেলের আবাসিক পড়ুয়াদেরও করোনা পরীক্ষা করানো হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত চলবে স্যানিটাইজেশনের কাজ।