ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের (ন্যাক) মূল্যায়ন অনুযায়ী অবনমন হল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের। ন্যাকের মূল্যায়নে বি প্লাস গ্রেড পেয়েছে বিশ্বভারতীর। উল্লেখ্য, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আমলে বার বার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে বিশ্বভারতী।
ন্যাকের মূল্যায়ন অনুযায়ী বিশ্বভারতী পেয়েছে ২.৭৫ পয়েন্ট, যা অত্যন্ত কম নম্বর বলেই ওয়াকিবহাল মহলের মত। এর আগে ২০১৫ সালে বিশ্বভারতী ন্যাকের মূল্যায়নে পেয়েছিল ২.৮২ পয়েন্ট। জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব মূল্যায়ন বৈঠক দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন বন্ধ থাকায় তার প্রভাব ন্যাকের মূল্যায়নেও পড়েছে বলে শিক্ষক ও ছাত্র সংগঠনের অভিমত।
গত মঙ্গলবার ন্যাকের সদস্য দল বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পৌঁছান। বুধবার তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর পরিদর্শন করেন। এর আগে যখন ন্যাকের প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিল, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বলা হয়েছিল, ন্যাকের মূল্যায়নের বিষয়ে তাদের সঠিক ধারণা ছিল না। কিন্তু এবারেও যখন ন্যাকের মূল্যায়ন আশানুরূপ নয়, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে।
বুধবার থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে অফলাইনে ক্লাস শুরু হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ন্যাকের বিচারে এই অবনমন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে। এই প্রসঙ্গে শিক্ষক সংগঠনের অভিমত, ন্যাকের এই মূল্যাযনের ওপর ভিত্তি করেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুদান, ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি নির্ভর করে। পড়ুয়াদের সুবিধা হয়। কিন্তু পঠন-পাঠনের মান কম থাকলে এর প্রভাব বিশ্বভারতীর ওপর পড়বে। যদিও এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।