বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে অচলাবস্থা চলছেই। বিশ্বভারতীতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন পড়ুয়ারা। ফলে বন্ধ হয়ে যায় পঠনপাঠন। হাইকোর্টের নির্দেশ সত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি।
গত মঙ্গলবার হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, এখনই বিশ্বভারতী হস্টেল খুলতে হবে। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বে হস্টেলের তালা ভাঙেনি। ফলে এখন পরীক্ষা বয়কটের ডাক দিয়েছেন পরীক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ভবনে গিয়ে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। আন্দোলনরত এক ছাত্রের কথায়, ‘এখনও পর্যন্ত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ দু'জন ছাত্রকে নিয়ে হস্টেলের তালা ভাঙেনি। আদালতকে অবমাননা করেই কর্তৃপক্ষ এই কাজ করেছে।’ একইসঙ্গে ওই ছাত্রটি জানান, ‘অনলাইনে পড়িয়ে অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না, এটাই দাবি ছিল। অফলাইনে পরীক্ষা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে বোঝাপড়া করেনি। যতদিন না পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিছু করবে, ততদিন পর্যন্ত পড়ুয়াদের আন্দোলন চলবে।’
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের দাবিতে উত্তপ্ত ক্যাম্পাস। হস্টেল খোলার পাশাপাশি অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানান পড়ুয়ারা। শেষপর্যন্ত পড়ুয়াদের এই দাবি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। বিচারপতি রাজশেখর মান্থা জানিয়ে দেন, খুব তাড়াতাড়ি বিশ্বভারতী খুলে দিতে হবে। পরীক্ষা যেন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। বহিরাগতরা যেন ঢুকতে না পারে, সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে পুলিশ মোতায়েন করতে হবে।