বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে উপাচার্যের সঙ্গে অধ্যাপকদের দ্বন্দ্ব ক্রমেই চরমে উঠছে।সম্প্রতি বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্যের অভিযোগ তুলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের এক অধ্যাপক।এবার তার পাল্টা সেই অধ্যাপককে শোকজ নোটিশ ধরিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।তিন দিনের মধ্যে সেই শোকজ নোটিশের জবাব দিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে যে শোকজ নোটিশ ধরানো হয়েছে, তাতে লেখা হয়েছে যে গত ৮ জুন বিকেল সাড়ে ৫টায় অনলাইন বৈঠকে অধ্যাপকদের মাসিক বেতন ও অধ্যাপনা সংক্রান্ত যে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছিল, সেই বিষয়ে কোনও প্রশ্ন না তুলে পাল্টা মানসবাবু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তথা উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে অসম্মানসূচক আচরণ করেছেন।একজন অধ্যাপক হিসাবে তাঁর এই আচরণ অকাম্যই নয়, অভব্যও।পাশাপাশি মানসবাবুর অভিযোগ বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা।তাঁর এই আচরণ বিশ্ববিদ্যালয়কে জানাতে হবে।তিন দিনের মধ্যে এই নোটিশের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল।বিশ্বভারতীর বেজিস্টারের সই করা নোটিশ পাঠানো হয়েছে পদার্থ বিজ্ঞানের ওই অধ্যাপকের কাছে।যদিও এই অধ্যাপকের দাবি, তিনি কোনও অন্যায় করেননি। বরং উপাচার্য কী কী বলেছেন, তার রেকর্ড রয়েছে।
একাংশের দাবি, গত ৮ জুন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বলেছিলেন, ‘অধ্যাপকরা তো মোটা মাইনে নেন আর আমাকে গালাগাল করেন।তাঁদের দেখে বোঝা যায়, তাঁরা কী ধরনের মানুষ।সাধারণত মা-বাবার থেকে মানুষ শিক্ষা পায়।তাঁদের আচরণ দেখলে বোঝা যায়, মা-বাবা ওই অধ্যাপকদের কেমন শিক্ষা দিয়েছেন।’ শিক্ষকদের এই ধরনের মন্তব্য করার প্রতিবাদ করায় মানসবাবুকে বৈঠক ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন উপাচার্য।এরপরই শান্তিনিকেতন থানায় উপাচার্যের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ তুলে এফআইআর দায়ের করেন ওই অধ্যাপক।তারই পালটা ওই শোকজ নোটিশ।