সদ্য ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য পাল্টেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। নতুন উপাচার্য এসেছেন এখানে। তবে অস্থায়ী। কারণ এখনও নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি আছে। তাই স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা যায়নি। কিন্তু আজ, সোমবার ভরদুপুরে বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিসের সামনে এক নগ্ন মহিলা হঠাৎ প্রতিবাদ জানাতে শুরু করল। এমন ঘটনা বিশ্বভারতীতে আগে কখনও ঘটেনি। নগ্ন মহিলার প্রতিবাদ করার ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
বিশ্বভারতীর সামনে নগ্ন মহিলার উপস্থিতি দেখে ছুটে আসেন গেটে থাকা মহিলা নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁরা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে হিতে–বিপরীত হয়। ওই মহিলা আরও ক্ষেপে ওঠেন। প্রতিবাদের আওয়াজ বাড়িয়ে দেন। তবে যতটুকু বোঝা গেল, ওই মহিলা অপমানিত হয়েছেন বলেই প্রতিবাদ করলেন এভাবে। যদিও গোটা বিষয়টি ওই মহিলা সামনে আনেননি। এমনকী ওই মহিলা যে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে এমন করছেন তা কিন্তু নয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে থানায় ফোন করা হয়। এই খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। ওই মহিলাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে থানায়।
আরও পড়ুন: ব্যাগের ভিতর থেকে বেরিয়ে পড়ল মানুষের মাথার খুলি–হাড়, বাগুইআটির জর্দাবাগানে আলোড়ন
প্রথমে বিষয়টি কেউ বুঝতে পারেননি। হঠাৎই দেখা যায়, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সম্পূর্ণ নগ্ন ওই মহিলা প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন। বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল লাইব্রেরি ও সেন্ট্রাল অফিসের সামনে প্রতিবাদ করতে থাকেন তিনি। এই দৃশ্য চোখে পড়তেই ভিড় করে দাঁড়িয়ে দেখতে থাকেন পথচলতি মানুষজন। তাতেই শোরগোল পড়ে যায়। আর বিশ্বভারতীর মহিলা নিরাপত্তারক্ষীরা ছুটে যান সেখানে। ওই মহিলার গায়ে তোয়ালে দিয়ে ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে পরিস্থিতি আয়ত্তে আসেনি। বরং চিৎকার আরও বেড়ে যায়। তাতেই আরও ক্ষেপে ওঠেন ওই মহিলা। নিরাপত্তারক্ষীদের মারধর করতে শুরু করেন। এই পরিস্থিতি দেখে খবর দেওয়া হয় শান্তিনিকেতন মহিলা থানায়। সেখান থেকে মহিলা পুলিশ এসে তাঁকে নিয়ে যান।
এরপর শান্তিনিকেতন মহিলা থানার পুলিশকে দেখে ওই নগ্ন মহিলা ছুটতে থাকেন। আর চিৎকার করতে থাকেন। তবে দ্রুত ওই নগ্ন মহিলাকে ধরে ফেলেন মহিলা পুলিশ কর্মীরা। তারপর তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় শান্তিনিকেতন থানায়। তবে কী কারণে ওই মহিলা নগ্ন হয়ে প্রতিবাদ করলেন সেটা এখনও কারও কাছে স্পষ্ট নয়। বিশ্বভারতীর কেউ এসবের জন্য দায়ী কিনা তাও এখনও জানা যায়নি। তবে ওই মহিলা কে, কোথা থেকে এসেছেন, কেন এমন কাণ্ড করলেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনায় হকচকিয়ে গিয়েছেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়া, অধ্যাপক, আশ্রমিক এবং এলাকার মানুষজন।