আবার তালা ঝুলল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসে। তবে তা ঝুলিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষই। আর তার জেরে উঠল আদালত অবমাননার অভিযোগ। কারণ এই তালা ঝোলানোয় আদালতের নির্দেশকে অমান্য করা হল। কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল সেন্ট্রাল অফিসে তালা ঝোলানো যাবে না। এবার সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আবারও সেন্ট্রাল অফিসের সামনের গেটে তালা ঝোলাল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সবমিলিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হলেন পড়ুয়ারা।
আজ মঙ্গলবার হয়ে গেলেও তিন বহিষ্কৃত পড়ুয়াকে পঠনপাঠনে যুক্ত করা হয়নি। বহিষ্কারের প্রতিবাদেই ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা পর্যন্ত হয়। এই বিষয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, এটা লঘু পাপে গুরু দণ্ড। আদালত ছাত্রদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেয় এবং স্বাভাবিক পঠনপাঠনে ফেরাতে নির্দেশ দেয়। এমনকী কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, বিশ্বভারতীর কোনও গেটে তালা লাগিয়ে রাখা যাবে না।
এবার অভিযোগ উঠেছে, এই সমস্ত নির্দেশকে অমান্য করে ফের বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিসের সামনের গেটে তালা ঝুলিয়ে দিল কর্তৃপক্ষ। তার জেরে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। আবার তিন বহিষ্কৃত পড়ুয়াদেরও পঠনপাঠনে যুক্ত করা হয়নি। সূত্রের খবর, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নির্দেশেই পুনরায় ওই গেট বন্ধ করা হয়েছে।
আরও অভিযোগ, সোমবার থেকে অনলাইন ক্লাস শুরু হোয়ার কথা ছিল। তা শুরু হলেও বহিষ্কৃত তিন পড়ুয়াকে কোনও লিঙ্ক পাঠানো হয়নি। ফলে তাঁরাক্লাস করতে পারেননি। এই কারণেই আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে আজ কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিন বহিষ্কৃত পড়ুয়া। তবে পড়ুয়ারা আদালতের নির্দেশে আন্দোলন সরিয়ে নিয়েছেন।