সেই অগস্ট মাস থেকেই আন্দোলন চলেছে বিশ্বভারতীর গেটের সামনে। মূলত বিশ্বভারতীয় তিনজন পড়ুয়াকে বরাখাস্ত করার প্রতিবাদেই এই আন্দোলন। এর জেরে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের সঙ্গে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের সংঘাত চরমে ওঠে। এদিকে তার জল আদালত পর্যন্ত গড়ায়। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ গোটা বিষয়টি নিয়ে আদালতে গিয়েছিল। এদিকে বরখাস্ত হওয়া তিনজন পড়ুয়াকে ক্লাসে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এরপরই নড়েচড়ে বসেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।শুক্রবার রাতে বিশ্বভারতীয় জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তি সামনে আসে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে যাতে তাদের উপর যে বরখাস্তের নির্দেশ জারি করা ছিল তা সাময়িক প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। বিশ্বভারতীর নির্দিষ্ট বিভাগকে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারেও বলা হয়েছে। এব্যাপারে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলিকে অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত গত ২৮শে অগস্ট থেকে তাদের উপর এই অর্ডার জারি করা হয়েছিল। তবে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে ৮ই সেপ্টেম্বরের কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারেই পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। তবে এই চিঠির জেরে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে বিশ্বভারতীর অন্দরে। সম্প্রতি আদালতের নির্দেশ আসার পরেই মিষ্টিমুখ করিয়ে, আবির মেখে উদযাপন করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। এবার ক্লাসে ফেরানো নির্দেশের জেরে অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে।