কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে খানিকটা স্বাভাবিক হয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু তাতে আন্দোলন থেমে গিয়েছে এমন নয়। উলটে তিন পড়ুয়াকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত খারিজের দাবিতে এবার রিলে অনশনের পথে আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। রবিবার রিলে অনশন শুরু হয়েছে। তার আগে শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর উদ্দেশ্যে পুষ্পস্তবক এবং মিষ্টি নিয়ে বাসভবনের সামনে হাজির হন পড়ুয়ারা। নিরাপত্তারক্ষীদের মাধ্যমে ফুল–মিষ্টি উপাচার্যের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আর্জি জানান তাঁরা। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীরা তা নিতে অস্বীকার করেন।
এদিন পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা হয়নি উপাচার্যের। ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতীর প্রায় ১২ জন অধ্যাপক–অধ্যাপিকাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তিনজন পড়ুয়াকে ৬ মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল। পরবর্তীতে সাসপেনশন বর্ধিত করা হয়। আবার তারা সাসপেন্ড থাকাকালীন তিন পড়ুয়াকে ৩ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব পড়ুয়ারা।
ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। রিট পিটিশন দাখিল করা হয়। গত শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, ক্যাম্পাসের ৫০ মিটারের মধ্যেও কোনও বিক্ষোভ চলবে না। শান্তিপূর্ণ অবস্থান চলতে পারে। মাইক বাজিয়ে স্লোগান দেওয়া চলবে না। তারপরই উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে উঠে যায় অবস্থান।
এখন তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী মঞ্চ। বিশ্বভারতীতে এখন শুরু হয়েছে ভর্তি প্রক্রিয়া। তিন ছাত্রের সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত খারিজের দাবিতে এখনও সরব পড়ুয়ারা। সাসপেনশনে সিদ্ধান্ত খারিজ দাবি জানানো প্ল্যাকার্ড হাতেই রবিবার উপাচার্যের বাসভবনের সামনেও যান আন্দোলনকারীরা। তবে পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা না করার সিদ্ধান্তে অনড় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। রবিবার থেকে অনশনে বসলেন বরখাস্ত হওয়া পড়ুয়া রূপা চক্রবর্তী। পাশাপাশি আরও এক অধ্যাপক ৬ ঘন্টার জন্য অনশন করবেন পড়ুয়াদের এই আন্দোলনকে সমর্থন জানানোর জন্য। তিনি হলেন সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। তিনিও এই মুহূর্তে বিশ্বভারতী থেকে সাসপেন্ড হয়ে রয়েছেন।