পূর্ণমানের থেকে প্রাপ্ত নম্বর বেশি হয়ে গিয়েছিল। হাসির খোরাকে পরিণত হয়েছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। এম.এডের মেধাতালিকায় এমন ঘটনা ঘটায় বিতর্ক চরমে ওঠে। তৎক্ষনাৎ ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে তুলে নেওয়া হয় ত্রুটিপূর্ণ মেধাতালিকা। তাতে আরও বিড়ম্বনা বাড়ে। কারণ বিষয়টি যে তাঁদের গাফিলতিতে হয়েছে সেটা সামনে চলে আসে। তখন বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, সংশোধন করে দ্রুত মেধাতালিকা আবার প্রকাশ করা হবে। এই নিয়ে এবার অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ দিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
বিশ্বভারতীতে অনলাইনে এম.এডের প্রবেশিকা পরীক্ষা হয়। সেখানে পূর্ণমান ছিল ১০০ নম্বর। আর প্রাপ্ত নম্বর কারও ১৯৬, কারও ১৫১! এই দেখেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় পরীক্ষার্থীদের। প্রশ্ন উঠতে থাকে, এটা কি সত্যিই নম্বর বিভ্রাট? মেধাতালিকা প্রকাশে কারচুপি করতে গিয়েই এই গরমিল? যদিও বিশ্বভারতী সুকৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে এখন তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
অনেকেই অভিযোগ করেন, কারচুপি করে বেশি নম্বর পাইয়ে দিতেই নম্বরের গরমিল করে ফেলেছেন পরীক্ষকরা। এম.এড কোর্সে বিশ্বভারতীর আসন সংখ্যা ৩০–এর কাছাকাছি। সেখানে ৪৩ জনের নামের মেধাতালিকা কেন? এই নানা প্রশ্নে জর্জরিত হতে হয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে। সম্প্রতি এখানে ছাত্র আন্দোলন বড় আকার ধারণ করেছিল। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, কলকাতা হাইকোর্টে মামলা গড়িয়েছিল। তাতে মুখ পুড়েছিল উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর।
আর এবার ত্রুটিপূর্ণ মেধাতালিকা প্রকাশিত হওয়ায় আবার মুখ পুড়ল। বাধ্য হয়ে এই নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এমনকী একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। সেই কমিটি খতিয়ে দেখবে মেধাতালিকায় এই গরমিলের জন্য কারা দায়ী। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু এতে কী ড্যামেজ কন্ট্রোল করা যাবে? উঠেছে প্রশ্ন।