করোনাভাইরাস এবং ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবের মধ্যেই পালক জুড়ল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুকুটে। ‘দ্য সেন্টার ফর ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং’–এ রাজ্যস্তরে তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। তবে তার আগে রয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এই পালক যোগ হওয়ায় রাজ্যের নামও উজ্জ্বল হল বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে র্যাঙ্কিংয়ে এই প্রথম বিশ্বভারতীর নাম উঠল। একুশের নির্বাচনের আগে থেকেই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই বিশ্ববিদ্যালয় একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছিল। সেখান থেকে আজ বিশ্বের দরবারে বিশ্বভারতীর জায়গা করে নেওয়ার খবরে খুশি আশ্রমিক থেকে অধ্যাপকরা। বিশ্বের দু’হাজার বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এই মান নির্ধারণ করে থাকে ‘দ্য সেন্টার ফর ওয়ার্ল্ড ইউনিভারসিটি র্যাঙ্কিং’। তাতেই তিন নম্বরে এসেছে বিশ্বভারতী।
জানা গিয়েছে, ২০২১–২২ সালে এই র্যাঙ্কিংয়ে ভারতের ৬৮টি প্রতিষ্ঠান জায়গা করে নিয়েছে। তার মধ্যে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট (আহমেদাবাদ) রয়েছে প্রথম স্থানে। ১৮তম স্থানে রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, ২০ নম্বরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ২১তম স্থান দখল করেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। আর ভারতে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে প্রথমে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় এবং চতুর্থ স্থানে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।
উল্লেখ্য, ২০১৮–২০১৯ সালে এই র্যাঙ্কিংয়ে যাদবপুর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও বিশ্বভারতী ছিল না। বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী অনিল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘নোবেল চুরির পর থেকে একের পর এক ঘটনায় বিশ্বভারতীর বদনাম হয়েছে। তবে বিশ্বভারতী যে র্যাঙ্ক করেছে তা গর্বের বিষয়। বিশ্বভারতীর সার্বিকমান বেড়েছে। বিশ্বভারতীর পুরনো গৌরব ফিরিয়ে আনাই আমাদের লক্ষ্য।’