বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ ঠুকলেন সাসপেন্ড ছাত্রী রূপা চক্রবর্তী। পাশাপাশি উপাচার্যের বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতন থানাতেও অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
চিঠিতে সংগীত ভবনের ছাত্রী রূপা চক্রবর্তী দাবি করেছেন, দীর্ঘদিন ধরেই উপাচার্য ছাত্র-ছাত্রীদের সাসপেন্ডের নামে অত্যাচার করছেন। উপাচার্য তাঁকে মাওবাদী তকমা দেওয়ায় সামাজিক ও পরিবারিকভাবে তিনি অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন। চরম অপমান ও কলঙ্ক নিয়ে তাঁর বেঁচে থাকাই এখন কঠিন হয়ে উঠেছে। এছাড়াও রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে মেইল মারফত অভিযোগ জানান তিনি। পাশাপাশি বিশ্বভারতী মঞ্জুরি কমিশন, রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ও কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছেও অভিযোগ জানান সাসপেন্ড হওয়া ওই ছাত্রী।
গত ৯ জানুয়ারি শান্তিনিকেতনের ভিতরে রাস্তা ফেরত পেতে ছাতিমতলায় মৌন অবস্থানে বসেছিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। মৌন অবস্থানের সময়ে ছাতিমতলার বাইরে উপাচার্যকে নিশানা করে ধিক্কার জানাতে থাকেন পড়ুয়ারা। পড়ুয়াদের ওই বিক্ষোভে সামিল হয়েছে ছাত্রী রূপা চক্রবর্তী। বিক্ষোভরত ছাত্রী রূপা চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করতে যান বিজেপি নেতা অনির্বাণ গাঙ্গুলি। দুজনের মধ্যে কথোপকথনের পর উপাচার্য রূপাকে মাওবাদী হিসেবে আক্রমণ শানান। রূপার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, বিশ্বভারতীর অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের ঘরের সিল খুলে দেওয়া হয়। এই কাজে যুক্ত রয়েছেন রূপা ও আরও ২ ছাত্রী। এই সিল খোলার ফলে তদন্তের কাজ ব্যাহত হয়েছে।