বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর উপর পড়ুয়া থেকে অধ্যাপক সকলেরই ক্ষোভ রয়েছে। তা নিয়ে নানা সময়ে আন্দোলন করতে দেখা গিয়েছে। এমনকী পড়ুয়াদের সাসপেন্ড করার জন্য মামলা গড়িয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানে ধাক্কা খেয়েছিলেন উপাচার্য। এবার ভার্চুয়াল বৈঠকে উপাচার্যকেই অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠল। আর তাতেই আবার সংবাদে বিশ্বভারতী।
ঠিক কী ঘটেছে বিশ্বভারতীতে? বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিক এবং কর্মীদের নিয়ে মিউজিক থেরাপি চলছিল। পুরো বিষয়টাই হচ্ছিল ভার্চুয়ালি এবং অনলাইনে। তখন ওই বৈঠকে অজানা অ্যাকাউন্ট থেকে কেউ ঢুকে পড়েন এবং উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে অশ্রাব্য ভাষার গালিগালাজ করতে থাকেন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যায় যে, ওই বৈঠক থেকে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টকে রিমুভ করা হয়। এই ঘটনা নিয়ে তুঙ্গে চর্চা।
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নানা কাজ এবং মন্তব্য বিতর্ক তৈরি করেছিল। এমনকী বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গেও ভাল সম্পর্ক নয় উপাচার্যের। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজেপি সাংসদ তথা শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার–সহ বিজেপি নেতাদের নিয়ে এসে রাজনীতিকরণ করেছিলেন উপাচার্য বলেও অভিয়োগ উঠেছিল।
তবে বৈঠক চলাকালীন এভাবে অশ্রাব্য–অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজের ঘটনা আগে ঘটেনি। তাই কিভাবে এমন ঘটনা ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনলাইন বৈঠকে বহিরাগত প্রবেশ কিভাবে ঘটল তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে তাঁরা ব্যবস্থা নেবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।