ছাত্র–আন্দোলনকে তোয়াক্কা না করে বিপাকে পড়ে গিয়েছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তিনি তিন ছাত্রকে বরখাস্ত করে বেজায় বিপদে পড়েছেন। এমনকী বন্ধ করে দিতে হয়েছে ভর্তি প্রক্রিয়াও। শুধু তাই নয় নিরাপত্তার অভাববোধ করে স্থানীয় পুলিশকে মেইল করেছিলেন। এবার তাঁর বাসভবনে শাকসবজি, খাবার ঢোকা আটকে দিলেন ছাত্র–ছাত্রীরা। তাতে আরও বিপাকে পড়লেন তিনি। প্রচণ্ড চাপে পড়ে এবার বিশ্বভারতীর আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন তিনি।
সূত্রের খবর, এই চিঠিতে তিনি লিখেছেন, তাঁকে ঘেরাও করে রাখা হয়েছে। তাঁর বাড়িতে খাবার ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। কাজের লোকদেরও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।’ কিন্তু তিনি লেখেননি কেন ছাত্র–আন্দোলন শুরু হয়েছে। তিনি লেখেননি তাঁর বাড়ির বাইরে নিরাপত্তারক্ষীরা ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করেছে। তা নিয়ে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এগুলি তিনি লেখেননি।
এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তেতে ওঠেন ছাত্রছাত্রীরা। তারপরই বুধবার বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বাসভবনে শাকসবজি নিয়ে দুই যুবক মোটরবাইকে করে ঢুকতে যাচ্ছিলেন। তাঁরা দুধ–আলুও দিতে আসেন। তখন ছাত্রছাত্রীরা দেখতে পেয়ে তাঁদের ঢুকতে বাধা দেন। ছাত্রছাত্রীদের বক্তব্য, তাঁরা উপাচার্যকে খাবার দিচ্ছেন। তাই আলাদা করে খাবার দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
উল্লেখ্য, দু’দিন আগে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের সিএস বা আপ্ত সহায়কের গাড়ি দাঁড় করিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চান পড়ুয়ারা। তখন তিনি পড়ুয়াদের গাড়ি চাপা দিতে উদ্যত হন বলে বিস্ফোরক অভিযোগ আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। তারপর উপাচার্যের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করে করেন পড়ুয়ারা। সেখানেই ব্যানার লাগাতে গেলে শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ।