বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Kazi Nazrul University: স্বেচ্ছায় অবসর নিলেন কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, জটিলতার অবসান

Kazi Nazrul University: স্বেচ্ছায় অবসর নিলেন কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, জটিলতার অবসান

কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের জট কাটছে। সৌজন্যে বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট

শিক্ষা দফতর অবশ্য় এভাবে তাঁদেরকে অন্ধকারে রেখে উপাচার্যকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে রাজ্যপাল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল। তবে এবার আদালতের সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছে শিক্ষাদফতর।

আসানসোলের কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের গত কয়েকদিন ধরেই চরম অচলাবস্থা তৈরি হচ্ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তুমুল বিক্ষোভ চলছিল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। তাঁকে সরানোর দাবিতে শুরু হয়েছিল আন্দোলন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ও পড়ুয়াদের একাংশ এই আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন। এদিকে এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা চর্চা হচ্ছিল। তবে তার মধ্যেই বড় সিদ্ধান্ত নিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী। আর তার এই সিদ্ধান্তের জেরে কিছুটা হলেও জল পড়ে গেল আন্দোলনে। এমনটাই মনে করছেন অনেকে।

প্রায় ২৬ লাখ টাকা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন আন্দোলনকারীরা। তাদের অভিযোগ, বেআইনীভাবে গাছ কাটা হয়েছে। শিক্ষক শিক্ষিকাদের একাংশ অনিয়মিত আসেন। কিন্তু তারা নিয়মিত বেতন পান। আরও নানা অব্যবস্থার অভিযোগে ক্ষোভ ছড়ায় পড়ুয়াদের মধ্য়ে।

তবে এনিয়ে নালিশ গিয়েছিল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে। এরপর রাজ্য়পাল সব দিক বিবেচনা করে উপাচার্যকে পদ থেকে সরিয়ে দেন। ইমেল করে এই বার্তা তিনি জানিয়ে দেন। এরপরই এনিয়ে নানা কথা উঠতে থাকে। এভাবে রাজ্যপাল উপাচার্যকে সরাতে পারেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এরপর আদালতে গিয়েছিলেন উপাচার্য।

এদিকে আদালতে জানানো হয়েছিল উপাচার্যকে বরখাস্তের নোটিশ আইনগতভাবে সঠিক পদক্ষেপ নয়। এরপর সেই বরখাস্তের নোটিশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। কিন্তু আদালতে গিয়ে অবশ্য় বড় সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলেন উপাচার্য। তিনি আদালতে শুনানির সময় জানিয়ে দেন তিনি স্বেচ্ছাবসর নিচ্ছেন। এদিকে এই ঘটনায় একদিকে যেমন উপাচার্যকে ঘিরে নানা জটিলতার অবসান হল তেমনি উপাচার্য নিজে থেকেই জানিয়ে দিলেন তিনি স্বেচ্ছায় অবসর নিতে চান। এক্ষেত্রে উপাচার্যকে আর আলাদা করে সরানোর কোনও প্রয়োজনীয়তা রইল না।

এক্ষেত্রে স্বেচ্ছা অবসরের সিদ্ধান্তকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই চর্চা শুরু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাদফতরের অন্দরে। তবে শিক্ষা দফতর অবশ্য় এভাবে তাঁদেরকে অন্ধকারে রেখে উপাচার্যকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে রাজ্যপাল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল। তবে এবার আদালতের সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছে শিক্ষাদফতর।

 

বন্ধ করুন