বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। এবারের বিধানসভা ভোটে কী কী ইস্যুর ভিত্তিতে বিজেপি লড়বে তা নিয়ে নানা চর্চা রয়েছে। তবে এসবের মধ্য়েই বাঁকুড়ার দেওয়াল লিখনের দিকে চোখ আটকে যাচ্ছে অনেকেরই।
সেখানে একাধিক দেওয়াল লিখন রয়েছে। একটিতে বড় করে পদ্মফুল আঁকা। লেখা রয়েছে হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই। ২০২৬-এ বিজেপি সরকার চাই। এরপর আর একটি দেওয়ালে লেখা, হিন্দুরা বাঁধো জোট, ২০২৬এ পদ্মফুলে সব ভোট। অপর দেওয়ালে লেখা তৃণমূলের বিরুদ্ধে সমস্ত হিন্দু এক হোন। এইবার দরকার হিন্দুদের বিজেপি সরকার। অপর দেওয়ালে লেখা হিন্দুদের বাঁচার প্রতীক। এরপরই পদ্মফুলের ছবি। তবে এসব ছবি দেখে চমকে যাচ্ছেন অনেকেই।
ভোটের তো এখনও বেশ দেরি। তবে অনেকের মতে, এবার অন্তত বোঝা যাচ্ছে এবারের ভোটে বিজেপির অন্যতম বড় হাতিয়ার হিন্দুত্ব। মেরুকরণের সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে। কার্যত সমস্ত হিন্দুদের একছাতার তলায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
কিন্তু এখানেই প্রশ্ন বাংলায় কি হিন্দুত্ব ইস্যু আদৌ টিকবে?
বিকাশ ঘোষ, বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য বলেন, আমরা দেওয়াল লিখন শুরু করলাম। ২০২৬ সালে বিধানসভা ভোট। তার আগে সমস্ত হিন্দুদের একত্রিত করতে চাই। তাদের সচেতন করার জন্য। তৃণমূল বিভাজন তৈরি করছে। সমস্ত হিন্দুরা একত্রিত হয়ে তৃণমূলকে তাড়াতে বিজেপিকে ভোট দিন। কারণ আর একটা যে ধর্ম তারা অন্য কোথাও ভোট দেয় না। তারা খালি তৃণমূলকে ভোট দেয়। সেকারণে বলছি দলমত নির্বিশেষে একত্রিত হয়ে ২০২৬ সালে বিজেপিকে ভোট দিন। হিন্দুদের একত্রিত করার একটাই কারণ সরস্বতী পুজো করতে দেয় না। আমরা কোনও ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু বলতে চাই না। হিন্দুরা যে একত্রিত হয়ে রয়েছে সেটা কুম্ভ দেখিয়ে দিয়েছে। এবার ২০২৬ সালে বাংলাও দেখিয়ে দেবে।
অংশুমান বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃনমূলের বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লক সভাপতি বলেন, বিজেপির তো আর কোনও ইস্যু নেই। বিজেপির বিধায়কের কোনও উন্নয়ন পরিকল্পনা নেই। বিভাজনের কথা বলছে বিজেপি। ওরা খালি বিভাজন চাই। তবে তৃণমূল তৈরি আছে। সেরকম কিছু হলে তৃণমূল তার মোকাবিলা করার জন্য সবরকমভাবে তৈরি আছি। আগেই বলেছি ওরা নাটক করছে। দেওয়াল লিখন করে ওরা কিছু করতে পারবে না। ২০২৬ সালের ভোটে বাঁকুড়া বিধানসভা ভোটে বিরাট জয় পাবে তৃণমূল।