বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরই আওয়াজটা উঠেছিল। এবার আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতের মধ্যে সেই তা আরও জোরালো হল। টুইটারে রীতিমতো ট্রেন্ড উঠল, আগামিদিনে প্রধানমন্ত্রী হোন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।
সোমবার সকাল থেকেই ‘বাঙালি প্রধানমন্ত্রী’ (#BengaliPrimeMinister) হ্যাশট্যাগ দিয়ে টুইট করা শুরু হয়। তাতে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতানেত্রীরাও। রাজ্যের মন্ত্রী তথা শিবপুরের তৃণমূল বিধায়ক মনোজ তিওয়ারি টুইট করেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ আজ যা ভাবে, আগামিকাল তা ভারত ভাবে। ওদের (বিজেপির) সুনার বাংলা মডেল বাজেভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ওদের সময় ভারত ধুঁকছে। কিন্তু উন্নয়নের মডেল চালু করে বাংলাকে যেমন এগিয়ে যাচ্ছেন, তেমনভাবেই (ভারতকে) এগিয়ে নিয়ে যাবেন দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়)। তাই আগামিদিনে আমাদের চাই বাঙালি প্রধানমন্ত্রী (#BengaliPrimeMinister)।’
মমতাকে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে দেখতে চেয়ে টুইট করেন রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য। লেখেন, 'গোটা ভারত চাইছে এবার, কন্যাশ্রী তারাও পাক, হাসপাতালে পয়সা ছাড়া, ভারত ছাড়া দাড়ি, টাক.. দেশ চাইছে সবুজসাথী ফ্রি রেশনের মিষ্টি ভাত, গ্রামে গ্রামে জীবন বদল নতুন খেলায় ভারত মাত.. দুর্গা এবার দিল্লি পানে, দেশ মেতেছে নতুন গানে, আমিও আছি, তুমিও রবে #DidiEbarPMHobe (দিদি এবার মুখ্যমন্ত্রী হবেন)।'
এমনিতেই দীর্ঘদিন ধরেই মমতাকে দেশে মোদী-বিরোধী মুখ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে তৃণমূল। সেই উদ্যোগে আরও গতি আসে বিধানসভা নির্বাচন ফলাফলের পর। বিজেপির ‘২০০-এর পার’-এর স্বপ্নে ধাক্কা দেন মমতা। উলটে গতবারের থেকেও বেশি আসনে জেতে তৃণমূল। তার ফলে দেশের মধ্যে নরেন্দ্র মোদী-বিরোধী মুখ হিসেবে মমতার জায়গা আরও পোক্ত হয়েছে। এমনকী বারাণসীতে মোদীর বিরুদ্ধে মমতা লড়তে পারেন বলেও দাবি করা হচ্ছিল। বিশেষত কংগ্রেস যখন নেতার অভাবে ধুঁকছে, তখন মমতা যেভাবে মোদী-অমিত শাহ জুটিকে ধাক্কা দিয়েছেন, তাতে বিরোধী শিবিরেও গ্রহণযোগ্যতা আরও বেড়েছে। মমতা নিজেও সেই চেষ্টায় কোনও কসুর ছাড়ছেন না। তারইমধ্যে এবার নেট দুনিয়ায় সেই দাবি তোলা হয়েছে।