অল্প সময় ট্রেনের সমস্ত কোচগুলিতে জল পৌঁছেছে কিনা এবার তা সহজে জানা যাবে। 'সুপারভাইজারি কন্ট্রোল এন্ড ডেটা অ্যাকুইজিশন' বা স্কাডা প্রযুক্তির মাধ্যমে তা জানা সম্ভব হবে। সাধারণত দূরপাল্লা এবং মেমু ট্রেনের কোচগুলোতে জল ভরা হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ও বেঁধে দেওয়া থাকে। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমস্ত কোচগুলোতে জল পর্যাপ্ত পৌঁছেছে কিনা তা এতদিন জানা সম্ভব ছিল না। তবে এই পদ্ধতির মাধ্যমে এবার তা জানা সম্ভব হবে বলে রেল সূত্রে খবর।
|#+|
পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই আসানসোল স্টেশনে এই পরিষেবা শুরু হয়ে গিয়েছে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে অল্প সময়ে কোচগুলোতে জল ভরার সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত প্রক্রিয়ার উপর নিখুঁতভাবে নজরদারি চালানো সম্ভব। দূর থেকেই সমস্ত প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন। এই প্রযুক্তিতে মূল পাইপের সঙ্গে যুক্ত থাকা ছোট পাইপগুলোতে জল সরবরাহ ঠিক মতো হচ্ছে কিনা যান্ত্রিক উপায়ে তাতে নজর রাখা সম্ভব। ফলে এই কাজের জন্য তুলনামূলক কম কর্মী দিয়ে নির্ভুল ভাবে জলভরার কাজ সম্পন্ন হবে বলে রেলের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে প্রথম আসানসোল স্টেশনে এই প্রযুক্তি চালু হয়েছে। সমস্ত প্রক্রিয়ার ওপর সিসিটিভির মাধ্যমে নজরদারি রেখে এই কাজ করা হয়।
প্রসঙ্গত, শুধুমাত্র আসানসোলে ৩৪ টি দূরপাল্লার ট্রেনে ৬৫৬ টি কোচে জল ভরা হয়। এছাড়াও, রয়েছে মেমু ট্রেনের কোচ। সব মিলিয়ে ৭৭৬টি কোচে জল ভরা হয়। সে ক্ষেত্রে প্রতিটি ট্রেনে জলভরা সময় থাকে ১০ মিনিট। ফলে ওই সময়ের মধ্যে সমস্ত কোচে জল পৌঁছেছে কিনা তা এতদিন জানা সম্ভব ছিল না। তবে এই পদ্ধতিতে এবার থেকে তা জানা সম্ভব হবে বলে রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন।