গ্রীষ্মের দাবদাহ শুরু হয়ে গিয়েছে। বছরের এই সময়টা পানীয় জলের সমস্যায় পড়তে হয় ডুয়ার্সের মানুষকে। জলস্তর অনেক নিচে নেমে যাওয়ায় কুয়োর জল শুকিয়ে যায়। যারফলে কমপক্ষে ৫-৬ মাস পানীয় জল নিয়ে ব্যাপক সমস্যার মুখে পড়তে হয় ডুয়ার্স এলাকার বাসিন্দাদের। সেই সমস্যার সমাধানে তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার। পিএইচই-র জল বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দিতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জলপাইগুড়ির মালবাজার মহাকুমা এলাকায় ইতিমধ্যেই বেশ কিছু বাড়িতে জল পৌঁছে গিয়েছে। আবার ওদলাবাড়ি, নাগরাকাটা, লুকসান, পাথরঝোড়া প্রভৃতি এলাকায় বাড়িতে বাড়িতে পিএইচই-র জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য মাটি খুঁড়ে পাইপলাইন নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে জোড় কদমে। এই সমস্ত এলাকায় এরকম ছবি দেখা গিয়েছে। এ বিষয়ে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক জানিয়েছেন, ‘জেলাজুড়ে প্রতিটি মানুষের বাড়িতে এভাবেই জল পৌঁছে দেওয়া হবে। এই কাজ সম্পন্ন হতে আগামী দেড় বছর সময় লেগে যাবে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে। সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই জল সরবরাহ করা হবে বাসিন্দাদের।’
রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলার বাসিন্দারা। তারা জানাচ্ছেন, ‘গ্রীষ্মকাল পড়লেই কুয়োর জল শুকিয়ে যায়। পিএইচই-র জলের জন্য তাদের লম্বা লাইন দিতে হয়। তবে এখন বাড়িতে বাড়িতে জল পৌঁছে যাওয়ার ফলে মানুষের সমস্যার সমাধান হবে। পানীয় জল নিয়ে তাদের আর অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়তে হবে না। বিনামূল্যে তিনবেলা জল পাওয়াটা অন্তত নিশ্চিত হবে।’