ইয়াস চলে যেতেই বৃহস্পতিবার থেকে মালদায় শুরু হয়েছিল টানা বৃষ্টি।বৃহস্পতিবার মালদায় প্রায় রেকর্ড ৩০৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে । এরপর থেকে কখনও বিক্ষিপ্তভাবে, কখনও আবার টানা বৃষ্টি হয়েছে মালদায়। তবে শনিবার নতুন করে সেভাবে বৃষ্টি না হওয়ায় কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে বাসিন্দাদের মধ্যে। তবে দিনদুয়েকের টানা বৃষ্টির জেরে মালদা শহরের বিভিন্ন এলাকা এখনও জলমগ্ন রয়েছে। জল ঢোকে নেতাজি মার্কেটেও। মালদা মেডিকেল কলেজ চত্বরেও জল জমে গিয়েছিল। তবে হাসপাতাল সূত্রে খবর সেই জল বের করা সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে চাঁচলে লোলিয়াবাড়ি গ্রামে বৃহস্পতিবার দুর্যোগের রাতেই ধানের বস্তা চাপা পড়ে দিদিমা ও দুই নাতির মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে দিদিমার কাছেই আশ্রয় নিয়েছিল দুই নাতি। সেই সময় ঘরের মধ্যে মাচাতে রাখা ধানের বস্তা তাদের উপর পড়ে যায়। মর্মান্তিক মৃত্যু হয় তাদের।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ভারী বৃষ্টিতে মহানন্দা ও ফুলহারের নদী বাঁধের কয়েকটি জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। পুরাতন মালদার সাহাপুরে মহানন্দা নদীতে ধস নেমেছে। চাঁচলেও প্রবল বৃষ্টি। শুক্রবার সকালে এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মালতীপুরের বিধায়ক। একাধিক রাস্তা ও বাড়ির একাংশ জলের তলায় চলে গিয়েছে। মরা মহানন্দার জল রাস্তার উপর দিয়ে বইতে শুরু করে। এদিকে মালদা শহরের বিভিন্ন নীচু জায়গায় জল ঢুকে য়ায়। কিছু জায়গায় পাম্প বসিয়ে জল বের করার চেষ্টা করা হয়। এদিকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় চাষের জমিতে জলের তলায় চলে গিয়েছে। এর জেরে ফসলেরও ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরেও গত কয়েকদিন ধরেই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে।
আয়াস চলে যাওয়ার পরে উত্তরের একাধিক জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হয়েছিল। তবে শনিবার বৃষ্টি কমেছে। শিলিগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টি না হওয়ায় জমা জল ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে।