গতবারে কি টার্গেটটা একটু বেশি হয়ে গিয়েছিল? এই প্রশ্নটা ক্রমশ ঘুরপাক খাচ্ছে এবারের বিধানসভা ভোটের আগে। গত বার হুঙ্কার ছেড়েছিল বিজেপি ইস বার দোশো পার! কার্যত দুশো পারের টার্গেট স্থির করা হয়েছিল গতবার। কিন্তু গতবার সেই টার্গেটের ধারেকাছে যেতে পারেনি বিজেপি। ৭৭ আসনে গিয়ে আটকে গিয়েছিল বিজেপি। আর এবার কি পরিস্থিতি?
গতবার বঙ্গ বিজেপি থেকে শুরু করে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা বার বার আওয়াজ তুলেছিলেন এবারের টার্গেট ২০০। কিন্তু সেই টার্গেট পূরণ হয়নি সেবার। তবে এবার সেই ২০০ পার থেকে সরে এলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী?
পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে ছিল শুভেন্দুর মিছিল। সেই মিছিল থেকে বার্তা দিলেন শুভেন্দু। আনন্দবাজার ডট কমের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, তমলুকে মিছিল থেকে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, লোকসভা ভোটে জেলার দুটি আসনই আপনারা নরেন্দ্র মোদীকে উপহার দিয়েছিলেন। শপথ নিন আমরা এই জেলা থেকে ১৬টি আসনেই জিতব। রাজ্যে হব ১৮০ অন্তত। এবার মমতাকে প্রাক্তন করব।
'এবার মমতাকে প্রাক্তন করব' এটা বহুবার বলেছেন শুভেন্দু। তবে ২০০ থেকে টার্গেট কমে গিয়ে ১৮০ হয়ে যাওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
অনেকের মতে, সাধারণত কর্পোরেট ক্ষেত্রে কর্মচারীদের টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে কর্মচারীদের টার্গেট বছর বছর বাড়তে থাকে। কিন্তু বিজেপির ক্ষেত্রে কি এবার কিছুটা উলটো পরিস্থিতি? এবার টার্গেট কমিয়ে দিলেন বিজেপি নেতৃত্ব।
এদিকে বিজেপির টার্গেট কমে যাওয়া নিয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ২০২১ সালে বলেছিল ২০০ পার। পেয়েছিল ৭৭টা। এটা এখন এসে ঠেকেছে ৬০-৬২তে। ভোটের আগে সেটা ৪০ এ নামবে। সামনের বার ৩০টাও পাবে না বুঝতে পেরে টার্গেট কমিয়ে দিয়েছে।
এদিকে তৃণমূলের এবারের টার্গেট কত?
এবার নেতাজি ইন্ডোরের সভা থেকে টার্গেট স্থির করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি জানিয়েছিলেন দুই তৃতীয়াংশ আসন জিততে হবে। সেটা ১৯৬ হয়। কিন্তু আমি বলব আমাদের অন্তত ২১৫ পেতে হবে। এর কম যেন কোনওভাবেই না হয়।
অর্থাৎ তৃণমূলের ইঙ্গিত তারা ২১৫ আসনের দিকে তাকিয়ে লড়ছে। আর বিজেপির জন্য সেই টার্গেট কমে গিয়ে হয়ে গেল ১৮০?
তবে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে এসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপরই কি টার্গেট কমানোর উদ্যোগ? বড় টার্গেট মানে কি বড় বোঝা? না পারলে কটাক্ষ শুনতে হবে?