যে সকল ভূমিহীনরা আবাস যোজনায় বাড়ি পাওয়ার যোগ্য, তাঁদের এবার থেকে জমির পাট্টা দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। তারপর আবাস যোজনার অধীনে বাড়ি তৈরি করার টাকা তুলে দেওয়া হবে তাঁদের হাতে। প্রসঙ্গত, আবাস যোজনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে জেলায় জেলায় ক্ষোভ তৈরি হয়। এরই মাঝে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ দেন, ভূমিহীনদের বাড়ি তৈরির বিষয়টি নিয়ে। এই আবহে এশিয়ানেট বাংলর রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যের ভূমিহীনদের ২ কাঠা করে জমি দেবে সরকার। (আরও পড়ুন: গঙ্গার নীচে দিয়ে আরও একটি সুড়ঙ্গ তৈরি হবে কলকাতা থেকে হাওড়া, দাবি রিপোর্টে)
আরও পড়ুন: ডিএ বাড়াচ্ছে না রাজ্য, এবার সরকারের 'চোখে চোখ রাখার' সিদ্ধান্ত কর্মচারীদের
আরও পড়ুন: অভিষেকের প্রস্তাবে বদল হবে রাজ্যের একাধিক পুরসভার প্রধান, পদ যাবে ফিরহাদেরও?
এদিকে যদি দেখা যায়, আবেদনকারী ভূমিহীন যেখানে থাকেন, সেখানে দেওয়ার মতো জমি নেই, তাহলে কী হবে? রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এই মর্মে জেলাশাসকদের কাছে নির্দেশ পাঠিয়ে বলা হয়েছে, উপভোক্তাদের গোটা বিষয়টি বুঝিয়ে অন্যত্র জমি প্রদান করতে হবে। এদিকে এই প্রকল্পে জমি দেওয়ার কাজটির তত্ত্বাবধানে থাকবেন সংশ্লিষ্ট জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক এবং ডিএলএলআরও। ভূমিহীন আবাস উপভোক্তাদের তালিকা থাকবে তাঁদের কাছে। সেই অনুযায়ী তাঁরা উপভোক্তাদের জন্যে জমি চিহ্নিত করবেন। (আরও পড়ুন: জানুয়ারি থেকে বাড়তে পারে ডিএ, কত হারে মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি হবে সরকারি কর্মীদের?)
আরও পড়ুন: আরজি করের চিকিৎসক খুনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র অনেকটাই পরিষ্কার: CBI অফিসার
আবাস যোজনায় কেন্দ্রের থেকে টাকা না পাওয়ার অভিযোগ করে সরব হয়েছিল রাজ্য সরকার। এই আবহে রাজ্য নিজের কোষাগার থেকে একশো শতাংশ টাকা দিচ্ছে বাড়ি তৈরি করার জন্য। এর মধ্যেও বিভিন্ন জায়গায় জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। আবাস যোজনার টাকা দিতে সমীক্ষা করা হচ্ছে। এমনকী যাঁদের জমি নেই তাঁদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। এই ভূমিহীনদের তালিকা অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি রাজস্ব) এবং ডিএলএলআরও’দের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে। তাঁরাই জমি দেওয়ার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেবেন। (আরও পড়ুন: সাগরে জন্ম নিতে পারে নিম্নচাপ, এই আবহে বাংলার কোথায় বৃষ্টি হবে এর মধ্যে?)
আরও পড়ুন: পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা কীভাবে হ্যাকারদের পকেটে? তদন্তের নির্দেশ মমতার
এদিকে আবাস যোজনায় জালিয়াতির অভিযোগে জেরবার শাসক। এই মাঝে সরকারই কলকাতা হাইকোর্টে মেনে নিল যে অনিয়ম হয়েছে। উল্লেখ্য, এই ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল ক্যানিং ১ নং ব্লকের ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতে। মামলাকারী পাঁচজনের টাকাই ভুল অ্যাকাউন্টে গিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। অর্থাত্, টাকা যাঁদের পাওয়ার কথা, তাঁরা পাননি। যাঁদের পাওয়ার কথা নয়, তাঁরা পেয়েছেন। আর সেই অভিযোগ যে সত্যি বলে মেনে নেয় সরকার পক্ষ।