অভিযোগ ছিল, বাংলাদেশের পাঁচ কিলোমিটার এলাকা নাকি এতদিন ভারতের কবলে ছিল। যদিও ভারত সেই দাবি মানছে না। এই আবহে এই সময় পত্রিকার এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কোদালিয়া নদীর অংশে ৫ কিলোমিটার এলাকায় নাকি বিজিবি নিজেদের 'দখল প্রতিষ্ঠা' করে। এই আবহে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে যে ভারতের জমি বাংলাদেশের দখলে চলে গিয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে এবার বিবৃতি প্রকাশ করে বিষয়টি স্পষ্ট করে দিল বিএসএফ। (আরও পড়ুন: পাসপোর্ট বাতিল বাংলাদেশের, আর ভারত নাকি বাড়িয়েছে হাসিনার ভিসার মেয়াদ: রিপোর্ট)
আরও পড়ুন: মেক্সিকো উপসাগরের নাম বদলে আমেরিকার নামে রাখা হবে: ট্রাম্প
বিএসএফ-এর দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার জানিয়েছে, উল্লেখিত ৫ কিলোমিটায় এলাকা নিয়ে যে সব রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, তা ভিত্তিহীন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'যে এলাকা নিয়ে এত চর্চা, সেটা ভারতীয় দিকে আছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার রানাঘাটের বাগদা ব্লকে এই এলাকা অবস্থিত। এখানে কোদালিয়া নদীর সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত আছে। সীমান্তের দু'দিকেই রেফারেন্স পিলারের দ্বারা এটা চিহ্নিত করা হয়েছে। বিগত কয়েক দশক ধরে আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিএসএফের ভূমিকা অপরিবর্তিত থেকেছে। ভারতের এক ইঞ্চি জমিও কেউ নিতে পারেনি। বিএসএফ এবং বিজিবি শান্তিপূর্ণ ভাবেই নিজেদের দিকে দায়িত্ব পালন করছে। ১৯৭৫ সালের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নির্দেশিকা মেনে চলা হচ্ছে।' (আরও পড়ুন: সঞ্জয়কে বাঁচাতে ‘খেলা...’? আরজি কর কাণ্ডে এবার বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা)
আরও পড়ুন: 'একটু জ্বর হলেই...', হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস শঙ্কার মাঝে এবার বিস্ফোরক মমতা
এর আগে রিপোর্টে বলা হয়েছিল, বিজিবি দাবি করেছে যে কোদালিয়া নদীর প্রায় পাঁচ কিলোমিটার আদতে তাদের। সেই এলাকা বাংলাদেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানান মহেশপুর ৫৮-এর বিজিবি ক্যাপ্টেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজিজুস শাহিদ। এই সময় পত্রিকর রিপোর্ট অনুযায়ী, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মাটিলা সীমান্তে সেই এলাকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নাকি বিবাদ আছে। এই আবহে বিজিবির অভিযোগ, বাংলাদেশির সেই অংশে মাছ ধরতে গেলে বিএসএফ নাকি সেখান থেকে তাদের সরিয়ে দিত। যদিও সাম্প্রতিক বিবৃতিতে বিএসএফ এই সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছে যে এই ৫ কিলোমিটার এলাকা আদতে ভারতেরই অংশ। (আরও পড়ুন: ১৪ বছর আগে কাঁটাতারে ঝুলে মৃত্যু বাংলাদেশি নাবালিকার, মা বললেন - 'ভারতকে যেন…')
এদিকে রিপোর্টে দাবি করা হয়, কোদালিয়া নদীর ওপর দিয়ে নাকি বিজিবি ২৪ ঘণ্টা মোটর বোটে টহল শুরু করেছে। যদিও এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে বিএসএফ। এই নিয়ে বিএসএফ বলেছে, 'বিএসএফ এবং বিজিবি নদীর নিজেদের পারে আগের মতোই দায়িত্ব পালন করে চলেছে।' বিএসএফ জানিয়েছে, এই এলাকায় কাঁটাতার নেই। এখান দিয়ে সীমান্তপার পাচার চলে। বাংলাদেশিরাও অনুপ্রবেশ করে এখান দিয়ে। সেই সব অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধে শক্ত হয়েছে বিএসএফ। এই আবহে সাম্প্রতিক সময়ে এখানে সেভাবে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেনি।