ফের মালদার সুকদেবপুরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ছড়াল উত্তেজনা। অভিযোগ উঠল, সীমান্ত পার করে ফের বাংলাদেশিরা অনুপ্রবেশ করে ভারতে। এপারে এসে নাকি ভারতের জমিতে বড় বড় গর্ত খুঁড়েছে বাংলাদেশিরা। পরে স্থানীয় গ্রমবাসীদের তাড়া খেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায় অনুপ্রবেশকারীরা। এদিকে দুই দেশের সাধারণ নাগরিকের মধ্যে যাতে সংঘর্ষ না বেধে যায়, তার জন্যে তড়িঘড়ি সেখানে পৌঁছায় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। (আরও পড়ুন: 'দেহের অবস্থা ভালো না', মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু কলকাতার বৃদ্ধারও)
আরও পড়ুন: কেন মহাকুম্ভে পদপিষ্ট এত জন? ষড়যন্ত্র কি? বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ যোগীর
মালদায় সুকদেবপুর সীমান্তে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে প্রায়ই। এরই মাঝে এবার জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে বাংলাদেশিরা ভারতে অনুপ্রবেশ করে বিশল বড় বড় গর্ত খুঁড়ছে বলে অভিযোগ। এই ১-২ মানুষ বড় গর্ত খুঁড়ে সেই মাটি তারা নিয়ে চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। এই গর্ত খুঁড়ে বাঙ্কার তৈরির চেষ্টা হচ্ছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এদিকে এই সবের মাঝে 'ফসল চুরির' রোগও অব্যাহত আছে বলে দাবি করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: নজর ছিল গোটা বিশ্বের, সুদের হার নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নিল মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ?)
আরও পড়ুন: '... নিয়ম নয়', আরজি কর কাণ্ডের আবহেই বড় পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের
উল্লেখ্য, গত ১৮ জানুয়ারি মালদায় ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে বাংলাদেশিরা চড়াও হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই সময় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের রুখে দিয়েছিল বিএসএফ। তবে মালদার সুকদেবপুরে এখনও পরিস্থিতি থমথমে। এই আবহে গ্রামবাসীদের সীমান্তের দিকে যাওয়ার ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। গ্রামবাসীদের সংযত থাকার পরামর্শ দিয়েছে বিএসএফ। এদিকে সুকদেবপুরবাসীদের অভিযোগ, ইউনুস জমানাতেই বাংলাদেশিরা ভারতীয় ভূখণ্ডে এসে লুটপাট চালাতে শুরু করেছে। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিএসএফের ১১৯ নং ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা টানা টহল দিয়ে চলেছেন সীমান্ত এলাকায়। (আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে রণতরী থেকে মিসাইল লঞ্চ, মহড়ায় বাংলাদেশের নৌবাহিনী)
আরও পড়ুন: কলকাতা হাই কোর্টের এই কাজে 'অসন্তোষ'… রিপোর্ট তলব সুপ্রিম কোর্টের
এদিকে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া দিতে গেলে আবার তাতে আপত্তি বিজিবির। এদিকে অনুপ্রবেশকারী বা পাচারকারীদের গুলি করলে তাতেও আপত্তি ওপারের শাসক গোষ্ঠীর। প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়া নিয়ে সংঘাত দেখা গিয়েছে বিএসএফ এবং বিজিবির মধ্যে। এই আবহে মালদা সহ একধিক জায়গায় ভারতীয় ভূখণ্ডের কাঁটাতার দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ছে বিএসএফ। এর জেরে সীমান্তের বহু জায়গায় ছড়িয়েছে উত্তেজনা। এই ইস্যুতে বাংলাদেশের দাবি, ১৯৭৫ সালে যে আন্তর্জাতিক সীমান্ত চুকি দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল, তা অনুযায়ী, সীমান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে ১৫০ গজ ভিতরে 'প্রতিরক্ষা কাঠামো' তৈরি করা যাবে। এদিকে ২০১০ সালে অবশ্য বাংলাদেশ ভারতকে লিখিত আকারে অনুমতি দিয়েছিল যে সীমান্তে ১৫০ গজের ভিতরেও প্রয়োজনে কাঁটাতারের বেড়া দিতে পারবে ভারত। এই কথা নিজে স্বীকার করেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী। এখন বাংলাদেশের গদিতে 'মুখ' পরিবর্তনের পরে তাদের অভ্যন্তরীণ সমীকরণ যাই হয়ে থাকুক না কেন, আগের সরকারের স্বাক্ষরিত দ্বিপাক্ষিক আন্তর্জাতিক চুক্তি মানতে বাধ্য তারা।