১৮ জানুয়ারি মালদায় ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে বাংলাদেশিরা চড়াও হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই সময় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের রুখে দিয়েছিল বিএসএফ। তবে মালদার সুকদেবপুরে এখনও পরিস্থিতি থমথমে। এই আবহে গ্রামবাসীদের সীমান্তের দিকে যাওয়ার ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। গ্রামবাসীদের সংযত থাকার পরামর্শ দিয়েছে বিএসএফ। এদিকে সুকদেবপুরবাসীদের অভিযোগ, ইউনুস জমানাতেই বাংলাদেশিরা ভারতীয় ভূখণ্ডে এসে লুটপাট চালাতে শুরু করেছে। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিএসএফের ১১৯ নং ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা টানা টহল দিয়ে চলেছেন সীমান্ত এলাকায়। (আরও পড়ুন: RG Kar LIVE: আরজি কর মামলায় কী সাজা পাবে সঞ্জয়? আদালতে কী কী হল আজ?)
আরও পড়ুন: জেলে ক্যারম খেলল সঞ্জয় রায়, আরজি কর কাণ্ডে দোষীর রাত কেমন কাটল?
বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ রুখতে সেখানে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি জখম হন বলেও দাবি করা হয়েছে। এই আবহে বিএসএফের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা মিছিল বের করেছিলেন গভীর রাতে। আবার ঢাকার বাংলা মোটর এলাকায় মশাল মিছিল করে জাতীয় নাগরিক কমিটি। এদিকে ভারতের গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছিল, বিজিবিকে ঘুষ দিয়ে সীমান্ত পার করে এসে ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে ফসল কেটে নিয়ে যাচ্ছে বাংলদেশিরা। (আরও পড়ুন: নাবালিকা থাকাকালীন দলিত কিশোরীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ৫৯ জন! গ্রেফতার তার মধ্যে ৫৭)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে করিয়ে দিয়েছিলেন পাসপোর্ট, পুলিশের জালে সেই BJP নেতা
উল্লেখ্য, মালদার সুকদেবপুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে বিএসএফকে লাগাতার বাধা দিয়ে আসছে বিজিবি। এই নিয়ে ডিসেম্বর মাসে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে সীমান্তে। দিন কয়েক পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক থাকার পর অবশ্য ১৮ জানুয়ারি সকাল থেকে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় সেখানে। লাঠি, হাঁসুয়াসহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কাঁটাতারহীন এলাকা দিয়ে ভারত ভূখণ্ডে হামলা চালানোর চেষ্টা করে বাংলাদেশিরা। অভিযোগ, স্থানীয়দের ক্ষেতের ফসল লুঠপাট করে তারা। পালটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ভারতীয় গ্রামবাসীরাও। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় প্রচুর বিএসএফ জওয়ান। দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ভারতীয়দের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোড়ে বাংলাদেশিরা। তাদের ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। তবে তাতেও পিছু হঠেননি গ্রামবাসীরা। অবশেষে বাংলাদেশি দস্যুদের পিছু হঠাতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় বিএসএফ।
পরে ঘটনা প্রসঙ্গে বিএসএফ একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলে, 'ভারতীয় কৃষকদের পুরোপুরি পিছু হটানো হয়েছে, তবে বিকেল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৫০-৭৫ মিটারের মধ্যে কিছু বাংলাদেশি নাগরিকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে এ অঞ্চলের বিএসএফ ও বিজিবি ইউনিটের কমান্ড্যান্টরা সমন্বয় জোরদারে কাজ করছেন। সীমান্তের পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে।'