পশ্চিমবঙ্গে এক শিশুর দেহে বার্ড ফ্লু শনাক্ত হয়েছে বলে সম্প্রতি দাবি করা হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে। তবে সেই দাবি খারিজ করল মালদা জেলা স্বাস্থ্যদফতর। জানা গিয়েছে, মালদার কালিয়াচকের এক ৪ বছর বয়সি শিশুর শরীরে মিলেছে এইচ৯এন২ ভাইরাস। তবে এই ভাইরাস বার্ড ফ্লু নয় বলে দাবি মালদা জেলা স্বাস্থ্যদফতরের। দাবি করা হচ্ছে, এইচ৫এন১ হল বার্ড ফ্লু-র ভাইরাস। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ্ত ভাদুড়ী জানান, বুধবারই পুনে থেকে এই রিপোর্ট এসেছে। (আরও পড়ুন: ২৪-এ আসন কম কেন বিজেপির? সংগঠনের ওপর দায় চাপিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী)
আরও পড়ুন: রবিবার বিশেষ মেট্রো চলবে কলকাতা নর্থ-সাউথ লাইনে, একনজরে দেখুন সময়সূচি
আরও পড়ুন: দিতে হবে ২৮ লাখ, সঙ্গে ৯ বছরের জন্য ৮% সুদ, বড় রায় বাংলার সরকারি কর্মীর পক্ষে
জানা গিয়েছে, র এবং পেটে ব্যথা নিয়ে গত ২৬ জানুয়ারি মালদার কালিয়াচকের চার বছরের এক শিশুপুত্র ভরতি হয়েছিল মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। পরে মার্চ মাসে তাকে কলকাতা নীলরতন সরকার হাসপাতালে রেফার করা হয়। পরে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে জানা যায়, সেই শিশুর শরীরে এইচ৯এন২ ভাইরাস রয়েছে। সাধারণত এই ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয় না। (আরও পড়ুন: কী ঘটেছিল ১৬ মে? ডিএ আন্দোলনকারী ভাস্করের বিরুদ্ধে কেন উঠল শ্লীলতাহানির অভিযোগ)
আরও পড়ুন: ১৮ শতাংশ ডিএ-র 'ভাঁওতা' ধরলেন অবসরপ্রাপ্ত তৃণমূলী সরকারি কর্মী, করলেন বড় দাবি
এর আগে রয়টার্সের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে ক্রমাগত গুরুতর শ্বাসকষ্ট, প্রবল জ্বর এবং পেটে ব্যথার কারণে সেই রোগীকে স্থানীয় হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভরতি করা হয়েছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, রোগীর বাড়িতে এবং তার আশেপাশে হাঁস-মুরগির কোনও ফার্ম ছিল। এরই সংস্পর্শে এসেই খুব সম্ভবত অসুস্থ হয়ে পড়েছিল সে। অসুস্থ শিশুটির পরিবার এবং অন্যান্য পরিচিতিদের কারও মধ্যে শ্বাসকষ্টের অসুস্থতার লক্ষণ দেখা যায়নি বলেও দাবি করা হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে। এদিকে সেই শিশুতে এর আগে বার্ড ফ্লুর ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। উল্লেখ্য, এই নিয়ে ভারতে দ্বিতীয়বারের মতো মানবদেহে এইচ৯এন২ ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা গেল। এর আগে প্রথমবার ২০১৯ সালে এক ভারতীয়র শরীরে এই বার্ড ফ্লু ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: ডিএ বাড়িয়ে 'পুরস্কার', তাও সরকারি কর্মীদের ওপর বিশ্বাস নেই মমতার, কী করল নবান্ন
উল্লেখ্য, এই এইচ৯এন২ ভাইরাস এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বলে উল্লেখ করা হয়েছিল রিপোর্টে। এর জেরে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। তবে মানুষ থেকে মানুষে সাধারণত এটা সংক্রামিত হয় না। তবে একবার যদি কোনও মানুষের থেকে তা অন্য কোনও মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়, তাহলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই ভাইরাসটি দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে উপস্থিত। তবে ভারতে ২০১৯ সালের পর এই প্রথম কেউ আক্রান্ত হল এই ভাইরাসে। বাংলাদেশের একজনের শরীরেও ধরা পড়েছিল এই ভাইরাস।
এদিকে সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, কলকাতা থেকে ঘুরে যাওয়া এক শিশু অস্ট্রেলিয়ার হাসপাতালে ভরতি হয়েছিল বার্ড ফ্লু-তে সংক্রমিত হয়ে। সেই ক্ষেত্রে জিন সিকোয়েন্সিং করে ভাইরাসটি এইচ৫এন১-এর সাবটাইপ বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে জানিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষ। রিপোর্ট অনুযায়ী, ১ মার্চ কলকাতা থেকে সেই শিশুটি অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে গিয়েছিল। ২ মার্চ সে হাসপাতালে ভরতি হয়েছিল এবং ২২ মে তাকে সুস্থ অবস্থায় হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।