আজ পশ্চিমবঙ্গের চারটি বিধানসভা কেন্দ্র - রায়গঞ্জ, রানাঘাট দক্ষিণ, বাগদা এবং মানিকতলায় উপ-নির্বাচনের ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হল। এই চার আসনেই অনায়াসে জয়ী হল তৃণমূল। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে এই আসনগুলির মধ্যে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে আছে বিজেপি। তবে উপনির্বাচনে এই সবকটি আসন ছিনিয়ে নেওয়ার জন্যে প্রেস্টিজ ফাইটে নেমেছিল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেই লড়াই শেষে বাংলায় উড়েছে সবুজ আবির। এদিকে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও আরও একাধিক রাজ্যের বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয় আজ। সেখানেও বিজেপির সোচনীয় অবস্থা। এই সংক্রান্ত যাবতীয় লাইভ আপডেট জানতে চোখ রাখুন হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার লাইভ ব্লগে।
ভারত জুড়ে ইন্ডিয়ার জয়জয়কার
বিহারের রুপাউলিতে জনতা দলকে পিছনে ফেলে এগিয়ে এক নির্দল প্রার্থী, হিমাচল প্রদেশের দেহরায় জয়ী কংগ্রেস, হামিরপুরে জয়ী বিজেপি, পঞ্জাবের জলন্ধর পশ্চিমে আম আদমি পার্টি, উত্তরাখণ্ডের মঙ্গলাপুর এবং বদ্রীনাথে কংগ্রেস, মধ্যপ্রদেশের অমরওয়ারায় বিজেপি জিতেছে। তামিলনাড়ুর একটি আসনের উপনির্বাচনে জয়ী ডিএমকে।
মধ্যপ্রদেশের আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই
মধ্যপ্রদেশের অমরওয়ারা আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই জারি। ১৯ রাউন্ড গণনার পরে বিজেপি প্রার্থী এখানে ১৭০০ ভোটে এগিয়ে। এর আগে দীর্ঘক্ষণ তিনি কংগ্রেসের থেকে পিছিয়ে ছিলেন। এই আসনে আর এক রাউন্ড গণনা বাকি।
সাধনের থেকেও বড় ব্যবধানে মানিকতলায় ঘাসফুল ফোটালেন সুপ্তি
মানিকতলায় ৬২ হাজার ৩১২ ভোটে জয়ী তৃণমূলের সুপ্তি পাণ্ডে। ২০২১ সালে মানিকতলা বিধানসভা ভোটে প্রায় ২০ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন সাধন পাণ্ডে।
৩৭ হাজার ভোটে জয়ী মুকুটমণি
রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা আসনটি উপনির্বাচনে জিতে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারীর জয়ের ব্যবধান ৩৭,০০৬। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির মনোজ কুমার বিশ্বাস।
জয়ী মধুপর্ণা
বাগদা বিধানসভা আসনটি বিজেপির থেকে ছিনিয়ে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। ২৫ বছর বয়সি মধুপর্ণা প্রায় ৩৪ হাজার ভোটে জিতেছেন এই আসনে। এই আবহে প্রায় একযুগ পরে বাগদায় তৃণমূল জিতল। উপ-নির্বাচনে জিতে পারলে দেশের সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক হওয়ার নজির গড়লেন মধুপর্ণা।
হিমাচলে জয়ী মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী
হিমাচলপ্রদেশের দেহরায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুর স্ত্রী তথা কংগ্রেস প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। হিমাচলের মোট তিনটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনের ভোট গণনা হচ্ছে আজ। দেহরা বাদে বাকি দুই আসনের একটিতে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে বিজেপি। অপর আসনে এগিয়ে কংগ্রেস।
এই প্রথম কৃষ্ণ কল্যাণীর হাত ধরে রায়গঞ্জ দখল করল তৃণমূল
রায়গঞ্জে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী। এর আগে বিজেপির টিকিটে জিতে ২০২১ সালে বিধায়ক হয়েছিলেন কৃষ্ণ। পরে অবশ্য বিধায়ক থাকা অবস্থাতেই দলবদল করে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। লোকসভা ভোটে কৃষ্ণকে প্রার্থীও করে ঘাসফুল শিবির। তখন তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। তবে লোকসভা ভোটে তিনি জিততে পারেননি। পরে রায়গঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে তাঁর ওপরেই আস্থা রাখে তৃণমূল। আর এই প্রথমবার কৃষ্ণ কল্যাণীর হাত ধরে রায়গঞ্জ দখল করল তৃণমূল।
এখনও পর্যন্ত বাংলার কোন আসনে কে কত ব্যবধানে এগিয়ে?
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, চতুর্থ রাউন্ড ভোট গণনা শেষে রানাঘাট দক্ষিণে ৭ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে তৃণমূলের মুকুটমণি অধিকারী। এদিকে ষষ্ঠ রাউন্ড গণনা শেষে রায়গঞ্জে ৩৪ হাজার ভোটে এগিয়ে তৃণমূলের কৃষ্ণ কল্যাণী। অপরদিকে সপ্তম রাউন্ড গণনার শেষে বাগদায় তৃণমূল প্রার্থী মধুপর্ণা ঠাকুর ১৪ হাজার ভোটে এগিয়ে আছেন। মানিকতলাতে পঞ্চন রাউন্ড শেষে ১৬ হাজার ভোটে এগিয়ে তৃণমূলের সুপ্তি পাণ্ডে।
জিতলে নয়া রেকর্ড গড়তে পারেন মধুপর্ণা
বাগদা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মধুপর্ণা ঠাকুর উপ-নির্বাচনে জিততে পারলে দেশের সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক হওয়ার নজির গড়বেন। সেক্ষেত্রে তিনি ৫৩ বছরের রেকর্ড ভেঙে দেবেন। আপাতত সেই রেকর্ড আছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নামে। তিনি ১৯৭১ সালে সেই রেকর্ড গড়েছিলেন।
বাগদায় মধুপর্ণা এগিয়ে গেলেন ১২ হাজারের বেশি ভোটে
বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রে ১২ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মধুপর্ণা ঠাকুর।
২১হাজারে এগিয়ে কৃষ্ণ কল্যাণী
চতুর্থ রাউন্ড শেষে রায়গঞ্জে তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী ২১ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে।
২০ হাজার ভোটে এগিয়ে সুপ্তি
ষষ্ঠ রাউন্ড গণনার শেষে মানিকতলা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুপ্তি পান্ডে ২০ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন।
সুপ্তির ‘জয়’ ঘোষণা কুণালের
ভোট গণনা এগোতেই সুপ্তি পাণ্ডের ‘জয়’ ঘোষণা কুণাল ঘোষের। সোশ্যাল মিডিয়ায় কুণাল এই নিয়ে লিখলেন, 'মানিকতলা বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী সুপ্তি পান্ডেকে রেকর্ড জয়ের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য মানুষকে অভিনন্দন। দলের প্রচার ও কর্মপদ্ধতিতে সাড়া দিয়েছেন মানুষ। কর্মী, সমর্থকদের পরিশ্রম সার্থক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ।অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ। সাধনদাকে শ্রদ্ধাঞ্জলি।'
দেশের অন্যান্য রাজ্যে কোথায় কোন দল এগিয়ে?
বিহারের রুপাউলিতে জনতা দল, হিমাচল প্রদেশের দেহরায় বিজেপি, হামিরপুরে কংগ্রেস, পঞ্জাবের জলন্ধর পশ্চিমে আম আদমি পার্টি, উত্তরাখণ্ডের মঙ্গলাপুর এবং বদ্রীনাথে কংগ্রেস, মধ্যপ্রদেশের অমরওয়ারায় বিজেপি এগিয়ে রয়েছে।
উপনির্বাচনের ৪ আসনেই অনেকটা এগিয়ে তৃণমূল
কমিশন জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত সম্পন্ন ভোট গণনায় রানাঘাট দক্ষিণে ১০ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে তৃণমূল। এদিকে তৃতীয় রাউন্ড গণনা শেষে রায়গঞ্জে ছ’হাজার ভোটে এগিয়ে তৃণমূল। অপরদিকে চতুর্থ রাউন্ড গণনার শেষে বাগদায় তৃণমূল প্রার্থী মধুপর্ণা ঠাকুর ১৫ হাজার ভোটে এগিয়ে আছেন। মানিকতলাতেও এগিয়ে তৃণমূল।
জলন্ধরে এগিয়ে আপ, তৃতীয় স্থানে বিজেপি
পঞ্জাবের জলন্ধর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে এগিয়ে আম আদমি পার্টির মহিন্দর ভগত। এই কেন্দ্রে ২ রাউন্ড গণনার পরে কংগ্রেস পিছিয়ে ৬ হাজার ভোটে। বিজেপি এই কেন্দ্রে তৃতীয় স্থানে।
বাগদার গণনাকেন্দ্রে শান্তনু
বাগদা বিধানসভার উপনির্বাচনের এই গণনা হচ্ছে বাগদা হেলেঞ্চা হাইস্কুলে। ভোট গণনা শুরু হতেই গণনা কেন্দ্রে পৌঁছে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। উল্লেখ্য, এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন ঠাকুরবাড়ির মধুপর্ণা। সম্পর্কে তিনি শান্তনুর বোন।
রানাঘাট দক্ষিণে এগিয়ে গেলেন তৃণমূলের মুকুটমণি
রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে এগিয়ে গেলেন তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী। এর আগে লোকসভা ভোটে রানাঘাট থেকে মুকুণমণিকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মুকুটমণি অবশ্য সেই ভোটে হেরেছিলেন বিজেপির জগন্নাথ সকারের কাছে।
মতুয়া গড়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই তৃণমূল-বিজেপির
এদিকে বাগদায় এগিয়ে তৃণমূলের মধুপর্ণা ঠাকুর। রানাঘাট দক্ষিণে এগিয়ে বিজেপি।
রায়গঞ্জে এগিয়ে গিয়েছে তৃণমূল
রায়গঞ্জে এগিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। প্রাথমিক ভাবে ভোট গণনায় দেখা গিয়েছে, তৃণমূল প্রার্থী এখনও পেয়েছেন ৮,৬৫৫টি ভোট। বিজেপি প্রার্থী পেয়েছেন ৫,১৭১টি ভোট। বিজেপির সঙ্গে ভোটের ব্যবধান তিন হাজারের বেশি।
দেহরায় পিছিয়ে হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী!
হিমাচল প্রদেশের দেহরা থেকে উপনির্বাচনে লড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুর স্ত্রী কমলেশ ঠাকুর। তবে প্রথম দুই রাউন্ডের গণনা শেষে তিনি বিজেপির হোশিয়ার সিংয়ের থেকে পিছিয়ে পড়েছেন।
প্রথম রাউন্ড গণনা শেষে মানিকতলায় এগিয়ে তৃণমূলের সুপ্তি
প্রথম রাউন্ড গণনা শেষে মানিকতলায় এগিয়ে তৃণমূলের সুপ্তি পাণ্ডে। তিনি প্রথম রাউন্ডে পেয়েছেন ৩১৮০ ভোট। ৯২৯ ভোট পেয়েছেন বিজেপির কল্যাণ চৌবে। প্রথম রাউন্ড শেষে ২২৫১ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী।
উপনির্বাচনে অশান্তি নিয়ে মুখ খুললেন সুপ্তি
মানিকতলার তৃণমূল প্রার্থী সুপ্তি পাণ্ডে ভোটের দিনের অশান্তি নিয়ে বলেন, ‘৫০টি ছেলে থাকলে ২ জন দুষ্টুমি করেছে। ভোটের দিন বাচ্চা ছেলেরা ভুল করেছিল। তাঁদের আমি বকেছি। কান মুলে দিয়েছি।’
১৩ রাউন্ড ভোট গণনা হবে বাগদায়
বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রের গণনা হবে হেলেঞ্চা হাই সকলুলে। ২ টি হলে ১৩ রাউন্ড ভোট গণনা হবে সেখানে।
১০ রাউন্ড করে গণনা হবে রায়গঞ্জে
রায়গঞ্জে পলিটেকনিক কলেজে হবে রায়গঞ্জ বিধানসভার ভোট গণনা। ২টি হলে ১০ রাউন্ড করে গণনা হবে।
১০ রাউন্ড গণনা হবে রানাঘাট দক্ষিণে
রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট গণনা হবে রানাঘাট কলেজে। ৩টি হলের মধ্যে ২টিতে ১১ রাউন্ড করে এবং আরেকটি হলে ১০ রাউন্ড গণনা হবে।
২০ রাউন্ড গণনা মানিকতলায়
মানিকতলা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ভোট গণনা অনুষ্ঠিত হবে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্য়ালয়ে। ৩টি কাউন্টিং হলে ২০ রাউন্ড ভোট গণনা হবে।
বিশেষ নজর হিমাচলের দেহরায়
এর মধ্যে হিমাচল প্রদেশের দেহরা থেকে লড়ছেন মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুর স্ত্রী কমলেশ ঠাকুর। বিজেপির হোশিয়ার সিংয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। যিনি রাজ্যসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন।
দেশের আর যেখানে যেখানে ভোট গণনা আজ
পশ্চিমবঙ্গের চারটি বিধানসভা কেন্দ্র ছাড়াও আজ দেশের আরও ন'টি আসনে উপ-নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হবে। যে তালিকায় আছে রূপাউলি (বিহার), বিক্রভান্দি (তামিলনাড়ু), অমরওয়ারা (মধ্যপ্রদেশ), বদ্রীনাথ (উত্তরাখণ্ড), মঙ্গলৌর (উত্তরাখণ্ড), জলন্ধর পশ্চিম (পঞ্জাব), হামিরপুর (হিমাচল প্রদেশ), দেহরা (হিমাচল প্রদেশ) এবং নালাগড় (হিমাচল প্রদেশ)।
মানিকতলা দখলের লড়াই সুপ্তি পাণ্ডের কাছে
মানিকতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে লড়াই করেছেন সুপ্তি পাণ্ডে। তিনি প্রয়াত সাধন পাণ্ডের স্ত্রী। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রয়াত হন রাজ্যের মন্ত্রী। তাঁর স্ত্রীকেই প্রার্থী করেছে তৃণমূল। বিজেপির টিকিটে লড়ছেন কল্যাণ চৌবে। সিপিআইএমের প্রার্থী হয়েছিলেন রাজীব মজুমদার।
মানিকতলা উপনির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৫১.৩৯ শতাংশ
মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রে মোট বুথের সংখ্যা ২৭৭। মোট ভোটারের সংখ্যা ২১০,৪৯৩। পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১০৮,৪৩৫। মহিলা ভোটারের সংখ্যা ১০২,০৫০। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা আট। সার্ভিস ভোটারের সংখ্যা ৫৫। ৮৫ বছরের ঊর্ধ্বে ভোটারের সংখ্যা ১,৮১১। বিশেষভাবে সক্ষম ভোটারের সংখ্যা হল ৪৯৭। ১৮-১৯ বছরের ভোটারের সংখ্যা হল ২,৪৮২। ২০-২৯ বছরের সংখ্যা হল ২৭,৩২৬। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ভোটদানের হার ছিল ৬২.৯৪ শতাংশ। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভোটদানের হার ছিল ৬৮.৫৫ শতাংশ। উপনির্বাচনের দিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত মানিকতলায় ভোট পড়েছিল ৫১.৩৯ শতাংশ।
রেকর্ডের হাতছানি তৃণমূলের মধুপর্ণার কাছে
বাগদা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মধুপর্ণা ঠাকুর উপ-নির্বাচনে জিততে পারলে দেশের সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক হওয়ার নজির গড়বেন। সেক্ষেত্রে তিনি ৫৩ বছরের রেকর্ড ভেঙে দেবেন। আপাতত সেই রেকর্ড আছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নামে। তিনি ১৯৭১ সালে সেই রেকর্ড গড়েছিলেন। উল্লেখ্য, দেড় মাস আগের লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁয় মতুয়া ঠাকুরবাড়ির কাউকে প্রার্থী করেনি তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ঠাকুরবাড়ির প্রার্থী দেওয়ায় সুবিধা পেয়েছিল বিজেপি। তবে এবার উপনির্বাচনে ঠাকুরবাড়ির মেয়ে মধুপর্ণা ঠাকুরকে বাগদায় প্রার্থী করেছে তৃণমূল।
মতুয়া গড় দখলের লড়াই
বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বাগদা বিধানসভায় এবার বিজেপির টিকিটে লড়াই করছেন বিনয়কুমার বিশ্বাস। তিনি মতুয়া সম্প্রদায়ের। এই কেন্দ্রে মতুয়াদের আধিপত্য আছে। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস টিকিট দিয়েছে রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে মধুপর্ণাকে। ঠাকুরবাড়ির মেয়েকে প্রার্থী করেই বাজিমাত করতে চেয়েছে ঘাসফুল শিবির। আর বামেদের প্রার্থী হলেন ফরওয়ার্ড ব্লকের গৌরাদিত্য বিশ্বাস।
বাগদা উপনির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৬৫.১৫ শতাংশ
বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রে মোট বুথের সংখ্যা ৩০১। মোট ভোটারের সংখ্যা ২৮৫,৪৪২। পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১৪৭,২২৮। মহিলা ভোটারের সংখ্যা ১৩৮,২০১। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ১৩। সার্ভিস ভোটারের সংখ্যা ৭০৪। ৮৫ বছরের ঊর্ধ্বে ভোটারের সংখ্যা ১,৪৯৭। বিশেষভাবে সক্ষম ভোটারের সংখ্যা হল ১,৭৩২। ১৮-১৯ বছরের ভোটারের সংখ্যা হল ৭,১১৪। ২০-২৯ বছরের সংখ্যা হল ৫৮,৬৪১। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ভোটদানের হার ছিল ৭৯.০৬ শতাংশ। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভোটদানের হার ছিল ৭৬.০৬ শতাংশ। উপনির্বাচনের দিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত সেখানে ভোট পড়েছিল ৬৫.১৫ শতাংশ।
মুকুটমণির প্রেস্টিজ ফাইট রানাঘাট দক্ষিণে
রানাঘাট দক্ষিণে এবার উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন মনোজকুমার বিশ্বাস। তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন মুকুটমণি অধিকারী। তিনি বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন। তবে তৃণমূলে যোগ দিয়ে লোকসভা ভোটে রানাঘাট থেকে হেরে যান। এবারও তাঁকেই প্রার্থী করেছে তৃণমূল। আর সিপিআইএমের প্রার্থী ছিলেন অরিন্দম বিশ্বাস।
রানাঘাট দক্ষিণ উপনির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৬৫.৩৭ শতাংশ
রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে মোট বুথের সংখ্যা ৩০৭। মোট ভোটারের সংখ্যা ২৯১,৭৮১। পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১৪৮,৮৩৪। মহিলা ভোটারের সংখ্যা ১৪২,৯৪৪। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা তিন। সার্ভিস ভোটারের সংখ্যা ৯১২। ৮৫ বছরের ঊর্ধ্বে ভোটারের সংখ্যা ১,৯৩৬। বিশেষভাবে সক্ষম ভোটারের সংখ্যা হল ১,৫২০। ১৮-১৯ বছরের ভোটারের সংখ্যা হল ৬,৮০৮। ২০-২৯ বছরের সংখ্যা হল ৫৯,১৪৭। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ৮৫.০২ শতাংশ ভোট পড়েছিল। আর ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভোটদানের হার ছিল ৮১.৫৪ শতাংশ। উপনির্বাচনের দিন বিল ৫টা পর্যন্ত নদিয়ার রানাঘাট দক্ষিণে ভোট পড়েছিল ৬৫.৩৭ শতাংশ।
রায়গঞ্জে ত্রিমুখী লড়াই
রায়গঞ্জে বিজেপির টিকিটে লড়ছেন মানসকুমার ঘোষ। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। যিনি ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন। তবে পরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। লোকসভা ভোটে রায়গঞ্জ লোকসভা আসন থেকে লড়াই করেন। সেখানে হেরে যান। এবার বিধানসভা উপ-নির্বাচনেও তিনি লড়াই করেন। আর কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন মোহিত সেনগুপ্ত।
রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে ৬৭.১২ শতাংশ ভোট পড়েছিল উপনির্বাচনে
রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে মোট বুথের সংখ্যা ছিল ২১২টি। মোট ভোটার সংখ্যা হল ২,০৬,৯০০। পুরুষ ভোটার হলেন ১০৪,৩৩৭ জন। মহিলা ভোটার হলেন ১০২,৫২৬ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার হলেন ৩৭ জন। সার্ভিস ভোটারের সংখ্যা ২৭। ৮৫ বছরের ঊর্ধ্বে ১,৫৫৪ জন ভোটার আছে। বিশেষভাবে সক্ষম ভোটারের সংখ্যা হল ১,০৫৭। ১৮-১৯ বছরের ভোটারের সংখ্যা হল ৩,১৫৮। ২০-২৯ বছরের সংখ্যা হল ৪৫,৩১৩। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভোটদানের হার ছিল ৮১.৩ শতাংশ। আর ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভোটদানের হার ছিল ৭৭.২৯ শতাংশ। আর উপনির্বাচনের দিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৬৭.১২ শতাংশ ভোট পড়েছিল সেখানে।