একদিন আগেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের নয়া বিধিতে বাংলায় বসবাসকারী 'শরণার্থীদের' ভারতের নাগরিকত্ব দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই আবহে রিপোর্টে দাবি করা হল, সিএএ-তে নাগরিকত্ব পাওয়া নদিয়ার আসাননগরের বিকাশ মণ্ডল এবং ঠাকুরনগরে শান্তিলতা বিশ্বাসরা ভারতীয় ভোটার। তাঁরা এর আগে নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। তাঁদের নামে আধার কার্ডও আছে। তাহলে ভারতীয় নাগরিক হওয়ার আগেই কীভাবে ভারতের ভোটার হলেন তাঁরা? এর কোনও জবাব অবশ্য মেলেনি। জানা গিয়েছে, বাংলার আটনজন 'শরণার্থীকে' নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে সিএএ-তে। তাঁরা উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়ার বাসিন্দা। (আরও পড়ুন: বাংলায় প্রবেশ বর্ষার, টানা ভারী বৃষ্টির হবে বহু জেলায়, জানুন আবহাওয়ার পূর্বাভাস)
আরও পড়ুন: বিবেকানন্দ রকে ধ্যানমগ্ন মোদীর প্রথম ছবি প্রকাশ্যে, এই ৪৫ ঘণ্টায় কী খাবেন মোদী?
আরও পড়ুন: বাংলায় মোদীর থেকে ৪.৫ গুণ বেশি মার্কস পেলেন মমতা, তবে হারলেন শুভেন্দুর কাছে
সিএএ-তে নাগরিকত্ব পাওয়া বিকাশ সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, ২০১২ সালে ঝিনাইদহ থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে ভারতে এসেছিলেন তিনি। সেই বছরই ঘুষ দিয়ে রেশন কার্ড করান তাঁরা। পরে ২০১৫ সাল নাগাদ আধার, ভোটার এবং প্যান কার্ড করিয়ে ফেলেন তাঁরা। ২০১৮ সালে নিজেদের জমি কিনে বাড়ি করেন। তিনি জানান, সিএএ-তে আবেদন করার পরে গত ২৭ মে তাঁকে কৃষ্ণনগরে ডাক বিভাগে শুনানির জন্য ডাকা হয়েছিল। সেই শুনানিতে তিনি বাংলাদেশের জন্ম-শংসাপত্র দিয়েছিলেন। এদিকে ২০১৪ সালের আগে তিনি ভারতে এসেছেন, তার প্রমাণ হিসেবে ভারতের রেশন কার্ড দেখান তিনি। আর তিনি যে হিন্দু, তার প্রমাণ হিসেবে মায়াপুরের এক আশ্রমের প্রভুর শংসাপত্র জমা দেন তিনি। বিকাশ জানান, তাঁর স্ত্রী সাথীও বাবা-মায়ের সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে এসে এখানে বসবাস করছে। এই আবহে স্ত্রী, নিজের মা-বাবার নাগরিকত্বের জন্য বিকাশ এরপর আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে বিকাশ জানান, ২০১৬ সাল থেকেই তিনি ভোট দিয়ে এসেছেন। অবশ্য সরাসরি কোনও দলের সঙ্গে তিনি যুক্ত নন বলে দাবি করেছেন। (আরও পড়ুন: ব্রিটেন থেকে ১০০ টন সোনা দেশে আনল RBI, মোট কত পরিমাণ হলুদ ধাতু আছে ভারতের কাছে?)
আরও পড়ুন: অটল অগ্নিবাণের লক্ষ্যভেদ, হইচই ছাড়াই বিশ্বকে মহাকাশে যাওয়ার নয়া পথ দেখাল ভারত
এদিকে আনন্দবাজারের রিপোর্ট অনুযায়ী, গাইঘাটার শান্তিলাল বিশ্বাসও সিএএ-তে নাগরিকত্ব পেয়েছেন। বারাসত মুখ্য ডাকঘরে শুনানি হয় তাঁর নাগরিকত্বের আবেদনের। তিনি ৩৭ বছর আগে খুলনা থেকে পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন। তবে ভারতে এসে শরণার্থী হিসেবে আবেদন করেননি শান্তিলতা। তিনি জানান, খুলনায় তাঁদের বাড়িতে হামলা হয়েছিল। তারপরই তাঁর পরিবার এদেশে চলে আসে। এখন তাঁর আধার, রেশন, ভোটার কার্ড, সবই আছে। এদিকে শান্তিলালের সঙ্গে তাঁর স্বামী তারকও আবেদন করেছিলেন নাগরিকত্বের জন্য। তিনি অবশ্য এখনও শংসাপত্র পাননি। তাঁকে নাকি বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জন্মের নথি জমা দিলেই ভারতের নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়ে যাবেন।