বাংলার পড়ুয়ারা একাদশ শ্রেণিতে উঠলেই ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে ট্যাব বা স্মার্টফোন পেয়ে থাকে। তাতে তাদের উচ্চশিক্ষায় উপকার হয়। এবার আশা এবং আইসিডিএস কর্মীদের জন্য সুখবর নিয়ে এলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই করতালিতে ফেটে পড়ল জনসভার প্রাঙ্গণ। সোমবার মুর্শিদাবাদের লালবাগে জনসভায় এই সুখবর ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক সভা থেকে এই কথা ঘোষণা করার পর আনন্দিত হন আশা–আইসিডিএস কর্মীরা।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী ৩৫২ কোটি টাকার ১৫২টি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। আর তখনই আইসিডিএস–আশা কর্মীদের স্মার্টফোন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হাতে একটা স্মার্টফোন থাকলেই অনেক কাজ করতে পারেন আশা এবং আইসিডিএস কর্মীরা। করোনাভাইরাসের সময় ওঁরা রাস্তায় নেমে অনেক কাজ করেছেন। আশা কর্মীদের ইতিমধ্যেই স্মার্টফোন দেওয়া হয়েছে। এবার দেওয়া হবে আইসিডিএস কর্মীদের।’ মুর্শিদাবাদের নবাবদের তৈরি নবাব বাহাদুর ইনস্টিটিউশনের ২০০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আর্থিক অনুদান দেওয়ার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: আসানসোলে মাটি চাপা পড়ে মৃত তিনজন শ্রমিক, জলের পাইপলাইনের কাজের সময় বিপদ
অন্যদিকে আজ, মঙ্গলবার রাজ্যের আইসিডিএস মেয়েদের স্মার্টফোন দেওয়ার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘আশা’ এবং ‘আইসিডিএস’এর মেয়েরা এলাকায় ঘরে ঘরে কাজ করেন। মুখ্যমন্ত্রী আজ সভায় বলেন, ‘আগে ‘আশা’ কর্মীদের জন্য আমরা স্মার্টফোনের নির্দেশ দিয়েছি। আইসিডিএস কর্মীদের জন্যও এবার করা হবে। টেন্ডারটা ক্লিয়ার হয়ে গেলে আপনারা হাতে একটা করে ফোন পাবেন। এই ফোনের মাধ্যমে আপনারা যোগাযোগ করে প্রশাসনকে জানাবেন এবং আপনারা অ্যাকশন নেবেন। মা–বোনদের সম্মান রক্ষা করবেন।’
এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারকেও তুলোধনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাকে যে বঞ্চনা করা হচ্ছে তা নিয়ে অভিযোগে সোচ্চার হন। আর তিনি সকলের পাশে যেমন আছেন তেমন থাকবেন বলেও জানিয়ে দেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘কেন্দ্র প্রাপ্য টাকা দেয় না। অথচ এই আশা এবং আইসিডিএস কর্মীরা গ্রামাঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা প্রদান করে চলেছেন। রাজ্য সরকার তাঁদের জন্য যা করার সবটাই করছে। মা–বোনেদের রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। সমাজে তাদের জন্য সচেতনতা বাড়ানো দরকার। কেউ যদি সরকারি প্রকল্পে টাকা চায়, এক টাকাও দেবেন না। কেউ অসুবিধায় পড়লে সরাসরি থানায় অভিযোগ করুন। পুলিশ অভিযোগ না নিলে আমাকে জানাবেন। এই কর্মীরা আমাদের জন্য যেভাবে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন সেটা অতুলনীয়। তাঁদের জন্য এই স্মার্টফোন কার্যকরি হাতিয়ার হবে। আপনারা দুয়ারে সরকারে নাম লেখাবেন।’