কালচিনির সুভাষিনী চা–বাগানে মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান হল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক সভায় নানা বিষয় উঠে এল। আজ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৮–তম জন্মবার্ষিকীতে আবার তাঁর ‘অন্তর্ধান রহস্য’ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে চেপে ধরলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, বৃহস্পতিবার কালচিনির সুভাষিনী চা– বাগানে সরকারি পরিষেবা প্রদান এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। এখান থেকে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করলেন, নেতাজি চক্রান্তের শিকার। রাজ্যের কাছে থাকা অন্তর্ধান নিয়ে ৬৪টি ফাইল প্রকাশ করা হয়েছে। কেন্দ্র কেন গোপন ফাইল প্রকাশ্যে আনছে না?
এদিকে এদিন কালচিনির সভায় এসে হাসিমুখে সৌজন্য বিনিময় করলেন জন বারলা। মুখ্যমন্ত্রীও পাল্টা সৌজন্য দেখান। তবে জন বারলার আজকের এই ঘটনায় চাপ বাড়ল বিজেপির। তবে নেতাজির ‘অন্তর্ধান রহস্য’ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উনি চক্রান্তের শিকার হয়েছিলেন। কীভাবে নেতাজির মৃত্যু হয়েছিল? সেটা আজও জানি না। তাঁর জন্মদিন জানি। কিন্তু মৃত্যুদিন জানি না। তিনি চক্রান্তের বড় শিকার। দুঃখ হয়। তিনি দেশের জন্য অনেক লড়াই করেছেন। অথচ, সেই মানুষটা কোথায় হারিয়ে গেলেন তা আমরা জানি না।’
আরও পড়ুন: কালচিনিতে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় মোদীর প্রাক্তন মন্ত্রী হাজির, সৌজন্য বিনিময়ে হল কথাও
অন্যদিকে কালচিনির সুভাষিনী চা–বাগানে পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রী স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর সোজা চলে যায় মঞ্চে। সেখানে কথা বলেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল–সহ দলের অন্যান্যদের সঙ্গে। আর এখানেই মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘নেতাজিই আমাদের শিখিয়েছিলেন সব ধর্মকে একসঙ্গে নিয়ে চলতে। সবার কথা ভাবতে। যিনি সবার কথা ভেবেছেন। সকলকে একসঙ্গে নিয়ে চলেছেন, এত লড়াই করেছেন। তিনি কোথায় হারিয়ে গেলেন। আর খুঁজেই পেলাম না। ভাবলেই দুঃখ হয় যে ওনার সঙ্গে কী হয়েছে জানতেই পারলাম না।’
এছাড়া আজ, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারকে চাপ দেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষমতায় আসার আগে নরেন্দ্র মোদীর মুখে একাধিকবার শোনা গিয়েছিল নেতাজি সংক্রান্ত সব ফাইল প্রকাশ্যে আনার কথা। কিন্তু তাঁরা ক্ষমতায় আসার পর জাতীয় নিরাপত্তা এবং বিদেশ নীতির দোহাই দিয়ে অধিকাংশ ফাইলই প্রকাশ্যে আনা হয়নি বলে অভিযোগ। কেন্দ্রকে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘আদিবাসীদের জমি কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ৫০টি শয্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ১২ লক্ষ মানুষকে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী ধাপে আরও ১৬ লক্ষ মানুষকে এই টাকা দেওয়া হবে। আমাদের কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। আমরা সম্মানের সঙ্গে আপোস করি না। তাই মানুষজনকে ঘর দেওয়া হবে। অনেক চা–বাগান খুলে গিয়েছে। আগামী দিনে আরও খুলবে।’