সরকারি কাজে স্বচ্ছতা আনতে চান মুখ্যমন্ত্রী। তাই এবার থেকে সরাসরি বিডিও’দের সপ্তাহে একদিন করে গরিব মানুষের গ্রামের বাড়িতে যেতে বার্তা দিলেন তিনি। আর বাড়িতে গিয়ে মানুষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার নিদানও দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ইংরেজবাজারে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে এমনই বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে শুধু বিডিও’দের নয়। সরকারি কর্মীদেরও একই বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। মালদায় সভা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ, মঙ্গলবার সরকারি সভায় যোগ দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থও। আজ, মঙ্গলবার ভোরেই মালদা মেডিক্যাল কলেজ –সহ জেলার একাধিক সরকারি জায়গা পরিদর্শন করেছেন মুখ্যসচিব। এখানেই আজ সরকারি অফিসারদের থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি সকলের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, মানুষের পরিষেবা নিশ্চিত করতে সকলকে যেতে হবে মানুষের কাছে। তবে কদিন পরই শুরু হচ্ছে রাজ্যে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি। তার আগে এই বার্তা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন: ল্যাম্প পোস্ট নিয়ে এবার কাউন্সিলরদের বার্তা দিলেন মেয়র, বর্ষার আগেই সতর্ক কলকাতা পুরসভা
এদিন নানা বিষয়ে বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার মুখ্যসচিবের প্রশংসাও করতে শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর কণ্ঠে। মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্র্রী বলেন, ‘বিডিওদের বলছি, মুখ্যসচিবকে দেখে শিখুন। কেমন করে মানুষের কাছে পৌঁছতে হয়। তবে শুধু বিডিওদের বলছি এমনটা নয়, এটা সরকারি অফিসারদের থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি সকলের জন্যই এই কথা বলছি। মানুষের পরিষেবা নিশ্চিত করতে সকলকে যেতে হবে মানুষের কাছেই। কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের ১ লক্ষ ৬৫ হাজার কোটি টাকা দেয়নি। কোথা থেকে কাজ করব? তার মধ্যেও আমাদের কাজ থেমে থাকেনি। কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী–সহ সব প্রকল্পের কাজ চলছে।’
এছাড়া আজ মালদার প্রশাসনিক মঞ্চ থেকে একাধিক সরকারি প্রকল্পের পরিষেবা তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। সভা শেষে এখান থেকেই কোচবিহারের উদ্দেশে রওনা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষজনকে পরিষেবা পৌঁছে দিতে এবং সরকারি কাজে স্বচ্ছতা রাখার উপর জোর দেন প্রশাসনিক প্রধান। মুখ্যমন্ত্রীর জেলা প্রশাসনের উদ্দেশে বক্তব্য, ‘সরকারি কাজে কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করব না। মানুষের পরিষেবায় যেন কোনও খামতি না থাকে। মানুষ কাজে গেলে ভাল ব্যবহার করুন। মানুষ যেন সরকারি পরিষেবার সুযোগ পান সেটা দেখতে হবে।’