হাতে সময় বলতে একবছর। তার মধ্যে গ্রামবাংলার প্রত্যেক বাড়িতে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দিতে হবে। তা না হলে বিরোধীরা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হবেন। আর তাই প্রত্যেকের বাড়িতে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে নানা সরকারি সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারদের কাজে লাগানোর নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ২০২৪ সালেই বহু বাড়িতেই জলের লাইন পৌঁছে গিয়েছে। আর যা বাকি আছে সেই সংখ্যাও অনেক। তাই কেএমডিএ থেকে আটজন ইঞ্জিনিয়ারকে ৬ মাসের জন্য ডেপুটেশনে বদলি করা হয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরে।
সম্প্রতি এই কাজ ঢিমেতালে চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সেই মর্মে চিঠিও দিয়েছেন সুকান্ত কেন্দ্রীয় সরকারি স্তরে। এবার নলবাহিত পানীয় জল গ্রামীণ বাংলার মানুষজনের কাছে পৌঁছে দিতে একজন এক্সিকিউটিভ, তিনজন অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং চারজন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারকে পাঠানো হয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরে। এঁদের মধ্যে চারজন সিভিল এবং দু’জন করে ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার রয়েছেন। এই প্রকল্পটি নিয়ে কদিন আগেই নবান্নে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিজেপির ২০টি পরিবার পেল ‘বাংলার বাড়ি’র টাকা, আউশগ্রামে তৃণমূলের কাছে তদ্বিরের জের
মুখ্যমন্ত্রীর ওই বৈঠকের পরেই জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরে প্রয়োজনের তুলনায় ইঞ্জিনিয়ার কম রয়েছে বলে খবর। আর তাই এই প্রকল্পে অন্য সরকারি দফতর বা সংস্থা থেকে ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে কাজে গতি বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাতে বাংলার গ্রামের কোনও মানুষজন জল নিয়ে কষ্ট না পান। ‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্প দ্রুত শেষ করতে বলা হয়েছে। কারণ গরমকাল পড়ে গেলে সাধারণ মানুষ জলের জন্য কষ্ট করতে থাকেন। দূর থেকে জল টেনে আনতে হয়। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সেই কষ্ট দূর হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এই প্রকল্পের যাবতীয় কাজ শেষ করে গ্রামবাসীদের ঘরে জল পৌঁছে দিতে হবে।
২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এই প্রকল্প কার্যকর করতে পারলে তা আবার একটা মাস্টারস্ট্রোক হবে। গরমকালে গ্রামবাংলার বহু বাড়িতে জলের সংকট দেখা দেয়। গ্রামে জল সরবরাহ প্রকল্পের পাম্পিং স্টেশনগুলি এখন ঠিক আছে কিনা সেটা দেখে নেওয়া হচ্ছে। তারপর পাইপ সংযোগ সঠিকভাবে হয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আবার পাইপলাইন যাতে প্রত্যেকের বাড়িতে পৌঁছয় সেই কাজ দ্রুততার সঙ্গে করা হচ্ছে। আর এসবগুলি হয়ে গেলেই অনেক ভালভাবে পরিচালিত হবে মুখ্যমন্ত্রীর জলস্বপ্ন প্রকল্প।