ডুমুরজলা স্টেডিয়াম সংলগ্ন ড্রেনেজ ক্যানাল রোডের নামকরণ করা হোক প্রয়াত বিখ্যাত ফুটবলার শৈলেন মান্নার নামে। মঙ্গলবার দিঘা যাওয়ার আগে ডুমুরজলা হেলিপ্যাডে দাঁড়িয়ে এই নির্দেশই দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর রাস্তার দু’পাশ সংস্কার করে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর নানা স্টল বসানোরও নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পরই এদিন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রাথমিক কাজ সারেন হাওড়া পুরসভা এবং জেলা প্রশাসনের কর্তারা। আজ, বৃহস্পতিবার দিঘা থেকে ফিরে ওই পথে হেঁটে সব দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আজ থেকে হাওড়ার ড্রেনেজ ক্যানেল রোডের নাম হয়ে গেল কিংবদন্তি ফুটবলার প্রয়াত শৈলেন মান্নার নামে। বৃহস্পতিবার শৈলেন মান্না সরনির নামে রাস্তার ধারে রাখা ফলকের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যে কথা দিলে কথা রাখেন এটা তারই আর একটা প্রমাণ। হাওড়াবাসীর দাবি ছিল এটি। যা জমা পড়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। আর সেটাই যাওয়া–আসার পথে করে দিলেন তিনি। একেবারে নিঃশব্দে। দিঘা যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘ড্রেনেজ ক্যানাল রোডের নাম বদলে শৈলেন মান্না সরণি করতে বলেছি। যদি হাওড়ায় শৈলেন মান্না রোড নামে অন্য কোনও রাস্তা না থাকে, তাহলে তাঁর এটি নামে রাখা যেতে পারে। এই রাস্তার দু’পাশ সংস্কার করে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য দোকান করে দিতে বলেছি।’
আরও পড়ুন: নতুন বছরের শুরুতেই বাংলা সফরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, শাহী সফরের নেপথ্য কারণ কী?
আর ওই নির্দেশের পর তড়িঘড়ি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাস্তার ধারে সৌন্দর্যায়ন এবং সেলফ গ্রুপের মাধ্যমে স্টল সাজানোর ব্যবস্থা করা হয়। আজ, বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের সফর সেরে আকাশপথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফেরেন ডুমুরজলা হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে। সেখান থেকে বেরিয়ে পায়ে হেঁটে পৌঁছন ড্রেনেজ ক্যানেল রোডে। সেখানে এই কর্মসূচি পালন করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক বলেন, ‘প্রায় আড়াই থেকে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ ড্রেনেজ ক্যানাল রোডের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের উল্টো দিকের অংশে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের জন্য স্টল বসানো হয়েছে।’
শৈলেন মান্না সরণি নামাঙ্কিত ফলকটির উদ্বোধন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেলফ হেল্প গ্রুপ দ্বারা যে স্টলগুলি করা হয়েছে সেগুলি পরিদর্শন করেন। তারপর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই রাস্তাটা জুড়ে একটা প্ল্যান করা হয়েছে। এখানে সেলফ হেল্প গ্রুপের স্টল, সুফল বাংলার দোকান, জামাকাপড় থেকে গয়নার দোকান আছে। এছাড়া এখানে একটা গ্রামের মধ্যে একটা লাইব্রেরি তৈরি করা হবে। আর একটা জায়গায় রেস্তোরাঁ, বাচ্চারা যাতে খেলাধূলা করতে পারে এই ধরণের কিছু করবে। এই রাস্তাটা পড়ে ছিল। তাই কাজে লাগানো হয়েছে। এই এলাকাটি সুসজ্জিত করতে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’