তাঁর হাত ধরেই বাংলা পেয়েছে পথশ্রী প্রকল্প। ১০০ দিনের কাজের জবকার্ড হোল্ডাররা পেয়েছেন কাজ। গড়ে উঠেছে প্রত্যেক জেলার নানা জায়গার পথঘাট। কাঁচা রাস্তা থেকে শুরু করে ভেঙে পড়া রাস্তা মেরামত এবং নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। সেই কাজ এখনও নানা জায়গায় চলছে। কিন্তু ডুমুরজলা স্টেডিয়াম সংলগ্ন রাস্তার নামকরণ হয়েছে শৈলেন মান্না সরণি। আর সেখানেই খারাপ রাস্তা দেখতে পেলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে জেলাশাসককে ধমক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার ডুমুরজলা হেলিপ্যাড থেকে হেলিকপ্টারে করে মুর্শিদাবাদ যাওয়ার সময় জেলাশাসক ধমক খান মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।
বিষয়টি যে মুখ্যমন্ত্রীর নজর এড়ায়নি সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন। কিংবদন্তী ফুটবলারের নামে রাস্তা অথচ ওই ফুটবলারের কোনও ছবি নেই! এটাই প্রথম নজরে পড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তখন জেলাশাসক দীপাপ্রিয়া পি’কে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, ‘দেড় মাস আগে বলা সত্ত্বেও কেন শৈলেন মান্না সরণির দু’ধারে তাঁর নামে সাইনবোর্ড লাগানো হয়নি? তা হলে মানুষ এই রাস্তা সম্পর্কে জানবেন কী করে? এত বার বলা সত্ত্বেও কেন রাস্তা মেরামতির কাজ হয়নি?’ এই প্রশ্নের মুখে পড়ে বিশেষ কোনও উত্তর দিতে পারেননি।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর সভায় আসছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলা, যোগ দেবেন তৃণমূল কংগ্রেসে
২০২৪ সালের বড়দিনের প্রাক্কালে মুখ্যমন্ত্রী ড্রেনেজ ক্যানাল রোডের নাম পরিবর্তন করে শৈলেন মান্না সরণি রাখেন। আর তিনি জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছিলেন, ওই রাস্তার দু’ধারে সৌন্দর্যায়ন এবং শৈলেন মান্নার নামে সাইনবোর্ড লাগাতে। এবার তিনি হেলিপ্যাডে আসার পথে রাস্তার দু’ধারে সাইনবোর্ড দেখতে পাননি মুখ্যমন্ত্রী। তাতেই ক্ষোভ উগরে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী। ধমক খাওয়ার পর জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপার দ্রুত কাজ শেষ হবে বলে মুখ্যমন্ত্রীকে আশ্বাস দেন। আর তার পরই দেখা যায়, ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের উল্টো দিকে শৈলেন মান্না সরণি পরিষ্কার করার কাজ শুরু হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী চলে যাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে আসেন হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী এবং পুরসভার কর্মীরা। অপরিষ্কার এলাকা পরিষ্কার করে সেখানে চিলড্রেন্স পার্ক, সবুজ ঘাস এবং ওয়াটার ফাউন্টেন তৈরি করার পরিকল্পনা হয়। শৈলেন মান্না সরণি নামকরণের ফলকের পাশেই একটি ইলেকট্রিক্যাল গ্লো সাইনবোর্ড তৈরির কাজও শুরু হয়। অভিযোগ, শৈলেন মান্না সরণির পুরো রাস্তাটাই খারাপ। হাওড়া পুরসভার চেয়ারম্যান সুজয় বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই এলাকার সৌন্দর্যায়ন এবং মেরামতির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এখানে সাফাই ও সৌন্দর্যায়ন করা হবে। আর পূর্ত বিভাগ রাস্তা তৈরি, নামাঙ্কিত বোর্ড লাগাবে।’